লোকসভা ভোটের মুখে ‘রাধিকা’ স্মরণ! মুম্বাই থেকে কলকাতায় আসছেন রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র

এ যেন মশা মারতে কামান দাগার অবস্থা! এবার মুখপাত্র খুঁজতে একেবারে ল্যাজে গোবরে হাল বিজেপির (BJP)। সম্প্রতি, রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya) রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। আর তারপরই দলের মুখপাত্র খুঁজতে রীতিমতো মুম্বাই থেকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) স্নেহধনা রাধিকাকে।

তবে বাংলার সঙ্গে রাধিকার সম্পর্ক নতুন নয়। তাঁর একদিকে যেমন মুর্শিদাবাদের জমিদার বংশের পরিচয়। অন্যদিকে, রয়েছে পরিবারের জাহাজ ব্যবসাও। ভাবছেন তো কে এই রাধিকা? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

পুরো নাম রাধিকা ভট্টাচার্য শাহ (Radhika Bhattacharya Shah)। তিনি যখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তখন দিলীপ দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে দিলীপের হাত থেকেই গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। তবে সেই অধ্যায় এখন অতীত হলেও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার থেকে দলের প্রধান মুখপাত্রের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই রাধিকাকে নিয়ে জোর চর্চা শুরু। তবে বিরোধীদের দাবি, লোকসভা ভোটের মুখে এসব করে লাভ কিছুই হবে না। তবে শুধুমাত্র রাজনীতি নয়, পেশায় কর্পোরেট জগতের আন্তর্জাতিক বিষয়ের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। কাজ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জেও। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রামীণ শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন নিজস্ব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে।

তবে বাংলায় বিজেপির অন্যতম মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়ার রাধিকা বলেছেন, ‘‘আমি সারাজীবন অনেক কাজ করেছি। মানুষের সেবা করেছি। এখন আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজের সঙ্গেও যুক্ত হতে চাই। সেই কারণেই রাজনীতিতে আসা। রাধিকা আরও জানান, তাঁর পিতামহ ছিলেন জমিদার। রায়সাহেব নগেন্দ্রকুমার ভট্টাচার্য মুর্শিদাবাদের নবাব বাহাদুরের জায়গির পেয়েছিলেন। নগেন্দ্রকুমার বহরমপুরের উল্লেখযোগ্য জমিদারও ছিলেন। তাঁর বাবা সন্তোষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ও বড় জাহাজ ব্যবসায়ী ছিলেন।

এরপরই প্রশ্ন ওঠে আমি দীর্ঘদিন বিদেশেও ছিলাম। কিন্তু যেখানেই থাকি না কেন, বাংলার মাটির সঙ্গে আমার যোগ গভীর। তবে এখানেই শেষ নয়, রাধিকার স্বামী প্রকাশ শাহ জাপান, ভেনেজুয়েলায় ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। মূলত গুজরাটের বাসিন্দা প্রকাশ রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধিও ছিলেন দীর্ঘসময়। দেশে-বিদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। আগামী দু একদিনের মধ্যেই কলকাতায় আসার কথা তাঁর।

 

Previous articleকেন্দ্রীয় নীতির জেরে কর্মহীনদের চা-কৃষকের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, কাজ বন্ধ না করার পরামর্শ
Next articleনতুন সৈনিক স্কুলের ৬২% সংঘ পরিবার আর পদ্মনেতাদের হস্তান্তর কেন্দ্রের!