ঘরে-ঘরে রাজ্যের উন্নয়ন, কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা প্রচার করুন: পঞ্চায়েত প্রধানদের বৈঠকে নির্দেশ অভিষেকের

প্রতিটি বুথ ধরে পাড়ায়-পাড়ায়, গলিতে-গলিতে, ঘরে-ঘরে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। তাঁদের অভাব- অভিযোগ শুনতে হবে সমাধানও করতে হবে। শনিবার, পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই বার্তা দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বাংলার মানুষকে জানাতে হবে।

লোকসভা ভোট সামনে রেখে এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের সঙ্গে করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় গোহারা হারার পরে বাংলার মানুষের প্রাপ্য বিজেপি (BJP) গায়ের জোরে আটকে রেখেছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাসের টাকা দেয়নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার তাঁদের পাশে আছে। ১০০দিনের কাজের টাকা ইতিমধ্যেই গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য। আবাসের টাকারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাংলার মানুষকে এগুলি বারবার বলতে হবে বোঝাতে হবে- নির্দেশ অভিষেকের। একই সঙ্গে তুলে ধরতে হবে বাংলায় রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কাজের খতিয়ান। কথা দিয়ে কথা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হয়েছে। সেই টাকা দ্বিগুণ করা হয়েছে। রাজ্যের এমন কোনও ব্লক বা প্রান্ত বা অঞ্চল নেই যেখানে সরকারি প্রকল্পের ছোঁয়া পাননি মানুষ। যাঁরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরাও পেয়েছেন, যাঁরা ভোট দেননি, তাঁরাও পেয়েছেন। অভিষেক নির্দেশ দেন, শুধু নিজেদের সমর্থক নয়, যাঁরা বিরোধীদের ভোট দিয়েছিলেন তাঁদের গিয়েও বোঝান- রাজ্যে উন্নয়ন করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারে জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন সবাই। উল্টে বাংলার হকের টাকা আটকে রাখছে কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকার।

তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক স্পষ্ট জানান, ঘরে বসে থাকলে চলবে না। সকাল-বিকেল টানা প্রচারে থাকতে হবে। বিশেষ করে মহিলাদের টিম তৈরি করে প্রচার করতে হবে। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে মহিলাদের বোঝাতে হবে বিজেপি কেন বাংলার জন্য বিপদ। এই কাজে কোনও রকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না। বর্তমানে বিজেপি যেভাবে ইডি সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স, এনাআইএ দিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে তা প্রচারে আরও বেশি করে তুলে ধরতে হবে। বিজেপিকে হারাতে ঘাম ঝরাতে হবে। অভিষেকে স্পষ্ট বার্তা, বুথ প্রতি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট টার্গেট করতে হবে। সেই সঙ্গে দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। দলের মধ্যে মতানৈক্য রাখা চলবে না।