ক্ষমতায় এলেই বিজেপির দুর্নীতির পর্দাফাঁস, তৃণমূলের পথেই দাবি কংগ্রেসের

শেষ ১০ বছরে বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যবহার বারবার করেছে। নতুন নতুন আইন প্রণয়নের চেষ্টা করেছে। একাধিক প্রকল্প চালু করেছে। কংগ্রেসের দাবি এসবই নিজেদের দুর্নীতিকে ঢাকার জন্য

গোটা দেশে বিরোধীদের দমন করতে বিজেপির প্রধান হাতিয়ার কেন্দ্রীয় এজেন্সি (central agency)। বিরোধী রাজ্যের নেতা, মন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীদেরও হাজতবাস বাকি রাখেনি বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার। অন্যদিকে বিরোধীরা বিজেপি শাসিত রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির পর্দাফাঁস করলেও সেখানে কোনও তদন্ত করে না কেন্দ্র সরকার। এবার কেন্দ্রের ক্ষমতায় এলে বিজেপির দুর্নীতির পর্দাফাঁসের হুঁশিয়ারি কংগ্রেসের (Congress)। রীতিমত দুর্নীতির নাম উল্লেখ করে নির্বাচনী ইস্তেহারে প্রকাশ করা হল বিজেপির কোন কোন দুর্নীতির তদন্ত করা হবে।

শেষ ১০ বছরে বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যবহার বারবার করেছে। নতুন নতুন আইন প্রণয়নের চেষ্টা করেছে। একাধিক প্রকল্প চালু করেছে। কংগ্রেসের দাবি এসবই নিজেদের দুর্নীতিকে ঢাকার জন্য। নোট বাতিল (demonetisation) থেকে রাফাল চুক্তি (Rafale), পেগাসাস মামলা (Pegasus Spyware) থেকে ইলেক্টোরাল বন্ড ইস্যু (Electoral Bonds) – সবটাই নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে ব্যবহার করা হয়েছে। গত ১০ বছরে বহু অন্যায়কারীকে দেশ ছাড়তে সাহায্য করেছে বিজেপি, যাদের আর দেশে ফেরানো হয়নি। এমনকি দেশের মধ্যে দুর্নীতি যারা করেছে বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে (washing machine) তাদের পরিস্কার করা হয়েছে, এমনটাই দাবি কংগ্রেসের ইস্তাহারে।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির এজেন্সি ব্যবহারে দ্বিচারিতা নিয়ে সরব ছিলেন। এমনকি বর্তমানে নির্বাচনী প্রচার থেকে বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যের দুর্নীতিরও পর্দাফাঁস করেছেন তিনি। আবার বাংলাতেই প্রথম আওয়াজ তোলা হয়েছিল বিজেপি ওয়াশিং মেশিনের বিরুদ্ধে। তবে দিল্লির ক্ষমতা দখলের প্রত্যাশী কংগ্রেস একটু দেরিতে হলেও বুঝেছে বাংলাই পথ দেখায়। এবার তাই তাদের ইস্তাহারে জায়গা পেয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত।

Previous articleনির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে ‘মাথাব্যথা’ বাড়ছে বিজেপির! ভোটের মুখে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
Next articleআজ পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে নামছে মোহনবাগান