অঙ্ক কষে পরিকল্পিতভাবে অভিযোগ তৈরি করছে বিজেপি, ভূপতিনগর প্রসঙ্গে মন্তব্য কুণালের

খুব স্বাভাবিকভাবেই ভোরে যখন বহিরাগতরা গ্রামে যাচ্ছেন তখন উল্টো স্পন্দন তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে (Bhupatinagar) বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Blast in Crackers Factory) ঘটনার তদন্তে গিয়ে এনআইএ (NIA) আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তদন্তকারী অফিসাররা অর্জুননগর এলাকায় পৌঁছলে গ্রামবাসীরা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এবং গাড়ি ভাঙচুর করেন বলে কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা জানাচ্ছেন। আর এই নিয়েই ভোটের আগে শুরু হয়েছে বিরোধী রাজনীতি। অনেকেই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল সরকারের (TMC) বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এবার পাল্টা জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন ভূপতিনগরের ঘটনা অবাঞ্ছিত, অনভিপ্রেত। কিন্তু মনে রাখতে হবে এর পেছনে একটা প্রেক্ষিত কাজ করছে। পরিকল্পিতভাবে অভিযোগ করে শকুনের রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। কোর্টকে সামনে রেখে এনআইএ দিয়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সরাতে চাইছে বিজেপি বলে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিযোগ করেন তিনি।

ভূপতিনগর থানায় মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। NIA এর অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারি কাজের বাধা দেওয়া সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা মানবেন্দ্র জানা ও তাঁর পরিবারের লোক সহ গ্রামের কিছু মানুষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে পুলিশকে তাদের অভিযান সম্পর্কে জানায় এনআইএ। কিন্তু রিকুইজিশন অনুযায়ী পুলিশ বাহিনী পাঠানোর আগেই নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে যায় এনআইএ-র টিম। একজনকে আটকও করা হয়। এরপরই হামলা চলে বলে অভিযোগ। যদিও গ্রামবাসীরা বলছেন সবটাই শুভেন্দু অধিকারীর চক্রান্ত। পরিকল্পিতভাবে তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কিছুদিন আগেই খবর মিলে ছিল যে বিজেপি নেতারা NIA এর কিছু অফিসারদের সঙ্গে বসে নাম ঠিক করছেন যে পূর্ব মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় যেখানে বিজেপি দুর্বল, সেখানকার তৃণমূলের নেতা ও ভোট কর্মীদের গ্রেফতার করতে হবে বা সমন পাঠাতে হবে। পরিকল্পিতভাবে অভিযোগ তৈরি করছে বিজেপি। খুব স্বাভাবিকভাবেই ভোরে যখন বহিরাগতরা গ্রামে যাচ্ছেন তখন উল্টো স্পন্দন তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ভূপতিনগরের ঘটনা অনভিপ্রেত কিন্তু এর পেছনে অংক কষে দাবার বোর্ড তৈরি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।’ এটা ‘শকুনের রাজনীতি’ বলে কটাক্ষও করেন কুণাল।

Previous articleন্যায়ের ধ্বজা উড়িয়েছিলেন নিজের স্বার্থে, তমলুকের চাকরিপ্রার্থীদের আওয়াজ “নো ভোট টু অভিজিৎ”
Next articleপুলিশকে না জানিয়ে মধ্যরাতে কেন অভিযান? ভূপতিনগরে NIA-এর ভূমিকায় প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর