দিল্লির বুকে শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের নারকীয় ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। এবার সেই রাজধানীতেই লিভ-ইন পার্টনারের (woman murdered by live-in partner) হাতে খুন হতে হল যুবতীকে? অনেকটা শ্রদ্ধার পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালার ধাঁচেই দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন মৃতার লিভ ইন পার্টনার বিপুল টেলর (Bipyul Taylor) বলে অনুমান। যদিও শেষমেষ তা সম্ভব হয়নি, আলমারি থেকে উদ্ধার হয়েছে যুবতীর দেহ। মৃতার বাবার সন্দেহ মেয়ের পার্টনারের দিকে, বেপাত্তা অভিযুক্ত।

২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যবধান মাত্র দু বছরের। এই সময়ে চারপাশটা অনেকটা বদলে গেছে কিন্তু এখনও নিজের প্রেমিকা বা বান্ধবীকে নৃশংসভাবে খুন করা বা তাঁর দেহ লোপাটের চেষ্টা করার প্রবণতার এতটুকু পরিবর্তন হয়নি। হতে পারে মনোমালিন্য কিংবা কথা কাটাকাটি, হয়তোবা ভুল বোঝাবুঝি কিন্তু তার জেরে এমন মারাত্মক এক প্রবণতা যুবসমাজকে এত দ্রুত ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা ভেবে চিন্তায় মনোবিদরা। গত বুধবার রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ দিল্লি পুলিশের পিসিআরে ফোন আসে। মেয়ে নিখোঁজ জানিয়ে জনৈক বয়স্ক ব্যক্তি ডায়েরি করেন। পাশাপাশি সন্তান খুন হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এরপরই পুলিশ ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁর মেয়ের ঠিকানা নিয়ে দ্বারকার রাজাপুরীতে পৌঁছে যায়। কী আশ্চর্য, সারা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও যুবতীর সন্ধান মেলেনি। অবশেষে সন্দেহ হওয়ায় আলমারি খুলতেই মৃতদেহ চোখে পড়ে। ২৬ বছরের যুবতীর বাবা জানিয়েছেন মৃতার লিভ-ইন পার্টনারকে তিনি সন্দেহ করছেন। পুলিশকে তিনি বলেন শেষবার যখন মেয়ের সঙ্গে কথা হয় তখন জানতে পেরেছিলেন অভিযুক্ত বিপুল তাঁর মেয়েকে মারধর করছেন। গত দেড় মাস ধরে লিভ ইন সম্পর্ক ছিল যুবতী এবং সুরাটের বাসিন্দা বিপুলের মধ্যে। সে কী কারণে এই মর্মান্তিক পরিণতি তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলার রুজু করে বেপাত্তা বিপুলের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।
