এজেন্সি দিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি, এবার কাঁথির ৩০ তৃণমূল নেতাকে সিবিআই তলব!

রাজনীতিতে পেরে না উঠে এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও লোকসভা ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতিসক্রিয়তা নিয়ে বারবার অভিযোগ তুলেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। ভোটের ঠিক আগেই তৃণমূলের সংগঠনে আঘাত হানতে একটি পুরনো মামলায় পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করেছে এনআইএ। আরও কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

এরই মাঝে অন্য একটি মামলায় আরও ৩০জন তৃণমূল নেতাকে নোটিশ পাঠাল সিবিআই। বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবেই দেখছেন তৃণমূল শিবির। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকার প্রথমে কাঁথি উত্তরের ১৩ জন তৃণমূল নেতা কর্মীকে সিবিআইয়ের নোটিশ। পরে আরও ১৭ জনকে নোটিশ। ২০২১ সালে জন্মেঞ্জয় দলাই ওরফে চাঁদু নামের এক নেতা খুনের মামলায় এই তলব বলে জানা গিয়েছে।

নিহত ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে বিজেপি নেতা বলে বিজেপির পক্ষে দাবি করা হলেও পরে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে সিপিআইএম নেতা খুন হয়েছে বলে দাবি তুলে মারিশদা থানায় অভিযোগ দায়ের করে সিপিআইএম। এরপর আবার বিজেপির তৎপরতায় হাইকোর্টে মামলা রুজু হয় এবং হাইকোর্ট সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। মারিশদা থানা এলাকার ভাজাচাউলিতে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওই নেতাকে। গত বিধানসভা ভোটের সময় ২০২১ সালের ৩০ মার্চ এই খুনের ঘটনা ঘটে। এই মামলায় কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের আইএনটিটি ইউসির সভাপতি বিকাশ বেজ সহ ১৩ জনকে তলব করা হয়েছে।

কাঁথি-৩ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ বেজ বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভোটের মুখে এই নোটিশ
পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। আমরা ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকার কথা জানিয়ে পালটা চিঠি পাঠিয়েছি। আমরা কেউ হাজিরা দিইনি।” তৃণমূলের দাবি, এবার কাঁথিতে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু। বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। নিশ্চিত হার বুঝতে পেরে ভোটের আগে এজেন্সি দিয়ে তৃণমূলের সংগঠন ভাঙতে চাইতে। একের পর এক তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করে মাঠ ফাঁকা করতে চাইছে অধিকারী পরিবার।

আরও পড়ুন- একনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম

Previous articleআজ কেকেআরের সামনে চেন্নাই, ধোনিদের বিরুদ্ধে জয়ই লক্ষ্য নাইটদের
Next articleদেশের গণতন্ত্রকে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছেন: মোদিকে তীব্র আক্রমণ মমতার