মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে খুলল আরও একটি চা-বাগান, সাইলির পর কাজে ফিরলেন দেবপাড়া বাগানের শ্রমিকেরা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপে খুলল আরও একটি চা-বাগান। সাইলির পর এবার খুলল বানারহাট ব্লকের দেবপাড়া চা-বাগান। ১০ দিনের মধ্যেই ডুয়ার্সের দুটি চা-বাগান খুলে যাওয়ায় হাসি ফুটেছে চা-শ্রমিকদের মুখে। ফের কাজ ফিরে পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।

দেবপাড়া চা-বাগানটি না জানিয়েই বন্ধ করে চলে যায় চা-শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের মজুরিও দীর্ঘদিন বকেয়া ছিল। কাজ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন শ্রমিকেরা। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে ফের কাজ ফিরে পান শ্রমিকেরা। উল্লেখ্য,ঝড়ে বিপর্যস্ত ময়নগুড়ির পাশে দাঁড়াতে রাতেই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। পরদিনই যান আলিপুরদুয়ারের বিপর্যস্ত এলাকায়। জেলা প্রশসান কে নির্দেশ দেন দুর্গতদের সমস্যা সমাধানের। এরপর নির্বাচনী জনসভার জন্য চালসায় ছিলেন তিনি। মালবাজারের সাইলি চা-বাগান বন্ধ জানতে পারেন তিনি। জানার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বৈঠক করে চা-বাগান খোলার ব্যবস্থআ। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে খুলে যায় সাইলি চা-বাগান। তার ঠিক ১০ দিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে খুলে গেল আরও একটি চা-বাগান।

চা-বলয়ে উন্নয়ন হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেোাপাধ্যায়ের হাত ধরে। বিজেপির প্ররোচনায় বন্ধ হওয়া একের পর এক বাগান খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। চা-শ্রমিকদের বসবাসের জন্য চা-সুন্দরির প্রকল্প এনেছেন তিনি। বাগান শ্রমিকদের শিশু সন্তানদের রাখতে তৈরি হয়েছে ক্রেস। গড়ে উঠেছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এককথায় চা-বলয় এবং শ্রমিকরা আজ হাসছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে। এথচ মোদি সরকার শুধু ভাঁওতা দিয়ে গিয়েছে সরল চা-শ্রমিকদের। কেন্দ্রের বাজেটেও চা-বলয়ের জন্য কোনও বরাদ্দ ছিল না। চা-বাগান অধিগ্রহনের নামেও মিথ্যে প্রতিশ্রুতি মিলেছে মোদি সরাকারের তরফে। অথচ চা-বলয়ের একের পর এক উন্নয়ন নিয়ে ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি যে ভোট পাখি শুধু ভোটের প্রাচারেই তাদের দেখা মেলে তাও বুঝেছেন নিরীহ চা-শ্রমিকেরা।

আরও পড়ুন- প্রথম হার কলকাতার, চেন্নাইয়ের কাছে ৭ উইকেটে হারল নাইট ব্রিগেড