ছোলা-গুড় খেয়ে ভোট বাজারে গরম কথা দিলীপের! কীর্তি বললেন, “পাগলে কী না খায়…!”

অনুব্রতর "গুড়-বাতাসা"র বদলে এবার দিলীপ ঘোষের পাল্টা দাওয়াই "ছোলা-গুড়"।

গত কয়েক বছরে ভোটের সময় গরম গরম কথা বলে বাজার মাত করতেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সেই “চড়াম চরাম ঢাক” হোক কিংবা “নকুলদানা”, “গুড়-বাতাস” তত্ত্ব আজও বাংলার ভোটে চর্চার অন্যতম উপকরণ। বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলেবন্দি। তাই এবার ভোটে বীরভূমের তৃণমূল নেতার নতুন কোনও তত্ত্ব বাজারে নেই। তবে ভোটের ময়দানে তিনি না থেকেও আজও প্রাসঙ্গিক। কারণ, দিলীপ ঘোষ তো রয়েছেন!

অনুব্রতর “গুড়-বাতাসা”র বদলে এবার দিলীপ ঘোষের পাল্টা দাওয়াই “ছোলা-গুড়”। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বলেন, “আমরা নিজের শক্তি বাড়ানোর জন্য খাই। লোককে দেখানোর জন্য নয়। সকালে এক্সারসাইজ তারপর গুড় ছোলা খেয়ে এবার লেগে পড়বো। সারাদিন রৌদ্রে ঘুরবো।”

ছোলা গুড়, গুড় বাতাসার পাল্টা কী না জিজ্ঞেস করায় দিলীপ ঘোষ বলেন, “পাল্টা তো পাবলিক দিয়েছে। তারা এখন কোথায় দেখে নিন। আমরা জনগণের শক্তি বাড়াতে চাই। জনগণের সংগঠন, জনগণের মনবল বাড়িয়ে এগোতে চাই। তাদের মনবল না বাড়লে সমাজ এগোবে না। তাদের ভয় দেখিয়ে রেখে যা চলছে আমরা তার পরিবর্তন চাই।” এরপর হুশিয়ারি দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ভোটের পর যাতে ঘর ছাড়তে না হয়, চুপ করে থাক। আমি বলেছিলাম, তোমরা আমাদেরকে গ্রামছাড়া করেছিলে, এবার রাজ্য ছাড়া করে দেবো “

অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষকে এদিনও কটাক্ষ করলেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ। দিলীপের “ছোলা-গুড়” নিয়ে কীর্তির পাল্টা, পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়! তৃণমূল প্রার্থীর কথায়, “উনি (দিলীপ ঘোষ) কারোর পা ভেঙে দেবেন। কারোর অন্য কিছু ভেঙে দেবেন। আমার কাছে পাগলদের জন্য কোনও সময় নেই। পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়!”

বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর টাউন হলে ইদের নামাজে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন তিনি। এরপর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।এদিন কীর্তি আরও বলেন, “বিজেপির লোকেরা অভদ্র। আমাদের পরিবারে সংস্কার শেখানো হয়েছে। আমরা ওদের মত অভদ্র নই।”




 

Previous articleদেশে সর্বোচ্চ বেকারত্ব-মূল্যবৃদ্ধি, মোদি সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে পারছে না রামমন্দির: চাপে বিজেপি
Next articleলখনৌ ম্যাচে নামার আগে অন্য মেজাজে রিঙ্কুরা, দিলেন কালীঘাটে পুজো