তৃণমূল-সহ বিরোধীদের লাগাতার অভিযোগ! কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধিতে কড়া নজর নির্বাচন কমিশনের

ভোটের দিনগুলিতে (Election Dates) কেন্দ্রীয় বাহিনীর ((Central Force) গতিবিধির ওপর নজরদারি রাখবে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। এই প্রথমবার ভোটের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে থেকে ভোট শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখবে কমিশনের নিজস্ব সার্ভিলেন্স টিম (Surveillance Team)। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার এবং গতিবিধি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগে বহুদিনের। চলতি বছরও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে আর্জি ও জানান বিরোধীরা। তার মধ্যেই নেওয়া হল সিদ্ধান্ত।

আসন্ন লোকসভা ভোটের অনেক আগে থেকেই প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে মোদি সরকার। তবে অভিযোগ তাঁদের যথাযথ ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না। সেই অভিযোগের পাল্টা এমন সিদ্ধান্ত। তৃণমূলের কংগ্রেস-সহ রাজ্যের বিরোধীদের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে কখনও তারা হাজারদুয়ারি চলে যাচ্ছে তো কখনও তারা আলিপুর চিড়িয়াখানায় যাচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর যা কাজ অর্থাৎ মানুষের মন থেকে ভয় ভীতি দূর করা, সেই কাজই হচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলির এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এই প্রথমবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজরদারি রাখতে চলেছে কমিশন।

প্রথম দফায় বাংলায় নির্বাচন রয়েছে তিনটি আসনে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার। এই তিন দফার জন্য ২৬৩ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের প্ল্যানিং রয়েছে কমিশনের। তার মধ্যে কোচবিহারে ১১২ কোম্পানি, জলপাইগুড়িতে ৮৮ কোম্পানি ও আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।