“গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হোন”, রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মানুষকে আবেদন বহুরূপী ‘গোলাপসুন্দরী’র!

হুগলির (Hoogly) খানাকুল মাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিনি। যিনি সমাজ সচেতনতামূলক কাজে নিজেকে নিযুক্ত করেছেন। কখনও করোনার সময় সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরতে আবেদন করা থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা, কখনও আবার ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার। বাল্যবিবাহ রোধেও তাঁর কাজ প্রশংসাযোগ্য। সচেতনতার বার্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে তিনি হুগলি থেকে পৌঁছে যান কখনও অযোধ্যা, কখনও দিল্লি। তাঁর পথচলা থামেনি শিক্ষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের।

লোকসভা ভোটের আগে “বহুরূপী” সাজে ধরা দিলেন দেবাশিসবাবু। এবার পায়ে ঘুঙুর, হাতে ব্যানার, পরনে ঘাগরা, মুখে ছড়া। পথে-পথে ঘুরছেন জনগণকে ভোট দেওয়ার আবেদন নিয়ে। ”বহুরূপী গোলাপ সুন্দরী” নামেই নিজের পরিচয় দিচ্ছেন তিনি। আরও বেশি করে মানুষকে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল করতে
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পোস্টার-ব্যানার লাগানো হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। শিক্ষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ও সেই একই কাজ করছেন, তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে। দেশ গড়তে সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন তিনি।

তাঁর ওই গোলাপসুন্দরী বেশভূষা দেখে পথচলতি মানুষ দাঁড়িয়ে পড়ছেন। শুক্রবার হুগলি জেলা সদর চুঁচুড়ায় দেখা মিলল গোলাপ সুন্দরীর। রূপনগর মাঠে বসেছে হাট। সেই হাটে পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হস্তশিল্পীরা। হাটে ছড়ার মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলকে ভোটদানে উৎসাহী করেন গোলাপসুন্দরী।

তাঁর কথায়, “দেশের সরকার তৈরির এই গণতান্ত্রিক উৎসবে সবাই অংশগ্রহণ করুক। যাঁর যাঁকে পছন্দ তিনি তাঁকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন। আগামিদিনে যাঁরা সাংসদ নির্বাচিত হবেন, তাঁরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়ন থাকছে। তাই নির্ভয়ে নিজের ভোট নিজে দেওয়ার আবেদন জানান “সমাজ সংস্কারক” শিক্ষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়।