‘কাঁথিতে কারা দুষ্কৃতী আনে’, সমাজমাধ্যমে অধিকারী পরিবারকে নিশানা কুণালের!

বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Bengaluru Blast case) বাংলার কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে NIA। এরপরই তৃণমূল বিরোধীরা আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে। কিন্তু রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) সহযোগিতা ছাড়া যে এই গ্রেফতারি সম্ভব হতো না, সে কথা উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাছাড়া কাঁথিতে কোন পরিবারের মাসল পাওয়ার চলে, সে কথা কারোর অজানা নয়। এভাবেই স্যোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Shubhendu Adhikari) পরিবারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলা থেকে দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ায় বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য তৃণমূল সরকারকে নিশানা করলে পাল্টা জবাব দেন কুণাল। এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে তিনি লেখেন, “NIA কেও মানতে হল রাজ্য পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতার কথা। বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে জড়িত বলে যে গ্রেফতার তারা করেছে, তাতে তাদের প্রেস রিলিজেও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতার উল্লেখ। আর কোথা থেকে ধরেছে? কাঁথি। সবাই জানে সেখানে কোন পরিবার দুষ্কৃতীদের আনে, আশ্রয় দেয়। এসবে তাদের ভূমিকার তদন্ত হোক। বাংলার পুলিশ দেশবিরোধী অশুভ শক্তিকে দমন করতে অবিচল এবং অন্য এজেন্সিকে সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত, আবার প্রমাণিত।”

মার্চের পয়লা তারিখে রামেশ্বরম ক্যাফেতে ঢুকে বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ রেখে আসেন এক ব্যক্তি। তাতে টাইমার সেট করা ছিল। এক ঘণ্টা পর হয় বিস্ফোরণ। তাতে ১০ জন আহত হন। গত ৩ মার্চ ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল। ২৭ দিন পর মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।এরপর কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা জানতে পারেন মুজ়াম্মিলের সঙ্গে শাজ়িব এবং আব্দুল এই ঘটনার সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের গোপন আস্তানার খবর পেয়ে রাজ্য পুলিশের সাহায্য নিয়ে সেখানে হানা দেয় NIA। আর তাতেই মিলেছে সাফল্য। গ্রেফতার করা হয় মুসাভির শাজ়িব হুসেন এবং আবদুল মাঠিন আহমেদকে।

 

Previous articleমুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নামার আগে সর্তক মোহনবাগান
Next articleহিন্দু ধর্ম পরিবর্তনে সরকারি অনুমতি ‘লাগবেই’, নির্দেশ গুজরাটে