জয়ের আগেই ২০৪৭ বার্তা মোদির! ৪০০ পেরোলেই ইউনিফর্ম সিভিল কোডের চোখরাঙানি

নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, “গ্যারান্টির প্রশ্ন নিয়ে বলতে পারি, আজ আমাদের দেশের রাজনীতিকরা যা বলছেন তা সত্যি নয়”

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন হতে তিন দিন বাকি। এখনও দেশের ২১ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। একাধিক রাজ্যে এনডিএ জোটসঙ্গীরা সঙ্গ ছেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরোনো আসন আদৌ ধরে রেখে সরকার গঠন সম্ভব হবে কী না, সেই প্রশ্নের মধ্যেই ২০৪৭-এর স্বপ্ন দেখছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেই সঙ্গে ৪০০ আসন জিতে এলেই দেশে এক দেশে এক নির্বাচন যে লাগু হবেই তাও জোর দিয়ে ঘোষণা করে রাখলেন মোদি। মোদি গ্যারান্টির কথা ফলাও করে বললেও নির্বাচনের আগে মোদিই স্বীকার করলেন তাঁর অনেক কিছুই এখনও করা হয়নি।

সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, “গ্যারান্টির প্রশ্ন নিয়ে বলতে পারি, আজ আমাদের দেশের রাজনীতিকরা যা বলছেন তা সত্যি নয়”। যদিও বিরোধী রাজনীতিকরা কী মিথ্যা বলছেন তার কোনও জবাব তিনিও দিতে পারেননি। আবার পাল্টা তিনিই দাবি করেন, “অনেক সরকার বলে আমরা অনেক কিছু করেছি। আমি বিশ্বাস করি আমি সবকিছু এখনও করিনি”।

ক্ষমতায় এলে ইউনিফর্ম সিভিল কোড (UCC) -এর অঙ্গীকার পূরণ করার কথা বললেও তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী কথা উঠে আসে মোদির মুখেই। তিনি একদিকে বলেন, ইউসিসি (UCC) তাঁর অঙ্গীকার। অন্যদিকে বলেন, “নাগাল্যান্ডের একজন মানুষ পাঞ্জাবের একজন মানুষের মত হতে পারেন না। কাশ্মীরের মানুষ গুজরাটের মত হবেন না। বিভিন্নতাই আমাদের শক্তি, আমাদের একে উদযাপন করা উচিত”।

নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সি (central agency) দিয়ে বিরোধী দলের কণ্ঠরোধে যে নজিরবিহীন সাক্ষী ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে দেশের মানুষ হয়েছেন তাকেও সমর্থন করেন নরেন্দ্র মোদি। এমনকি আবারও তিনি দাবি করেন ইডি (ED)-র দায়ের করা মামলার মাত্র ৩ শতাংশ রাজনৈতিক নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে। যদিও সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেন এমন উদাহরণ যাতে স্পষ্ট লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (level playing field) তাঁর দল কখনই দেবে না। মোদি বলেন, “কংগ্রেসের সময়ে এমন নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন করা হয়েছিল যিনি পরে কংগ্রেসের প্রার্থী হন। এবং সেই জন্য আমরা সেই পর্যায়ে খেলতে পারিনি”।

পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, “ওঁরা আমার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (অমিত শাহ) জেলে ভরেছিল যখন আমি মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম”। নির্বাচন ঘোষণার সময়ে নির্বাচন কমিশন সবাইকে সমান খেলার মাঠ দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা যে কতটা ভাঁওতা তা কার্যত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই স্পষ্ট।

 

Previous articleপ্রচার পর্বের শেষলগ্নে কোচবিহারে অভিষেকের জনসভার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে
Next articleএবার বাংলার ফুটবলে টেকনো ইন্ডিয়া , আগামী মরশুমে কলকাতা লিগের প্রথম ডিভিশনে ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টস ক্লাব