আজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৭৬০

জোশুয়া মার্সম্যান
(১৭৬০-১৮৩৭) এদিন ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তন্তুবায়পুত্র মার্শম্যান ১৪ বছর বয়সে লন্ডনের পুস্তক-বিক্রেতার দোকানে চাকরি গ্রহণ করেন। ১৭৯১ খ্রিঃ ব্যাপটিস্ট পরিবারের হ্যানা শেফার্ডকে বিবাহ করে ব্যাপটিস্ট মতবাদে দীক্ষিত হন। ১৭৯৪ খ্রিঃ শিক্ষকের বৃত্তি গ্রহণ করেন। বহুভাষাবিদ ছিলেন। মিশনারি কাজে উৎসাহিত হয়ে ১৭৯৯ খ্রিঃ প্রচারকার্যের জন্য ভারতে আসেন। শ্রীরামপুর মিশনকে কর্মকেন্দ্র নির্বাচন করে মিশনের ব্যয়নির্বাহের জন্য একটি স্কুল খোলেন। তাঁর স্ত্রীও একাজে সাহায্য করতেন। স্ত্রী হ্যানা বাংলার নারীশিক্ষা প্রচলনে অগ্রণীর ভূমিকা পালন করেন। এই স্কুলটি ক্রমে শ্রীরামপুর কলেজ ও ধর্মীয় শিক্ষালয়ে পরিণত হয়। এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে প্রচারকার্যের জন্য দুরূহ চিনা ভাষা শিখে ওই ভাষায় বাইবেল অনুবাদ এবং ব্যাকরণ ও অভিধান রচনা করেন। ‘সংস্কৃত রামায়ণ’ তাঁর ও কেরির যুগ্ম প্রচেষ্টায় অনূদিত হয়। ব্যাপটিস্ট মিশনারি সংস্থার কেরি ছিলেন নেতা, কিন্তু মার্শম্যান অনেক কাজ কেরির বিরোধিতা সত্ত্বেও নিষ্পন্ন করেন— যেমন পত্রিকা প্রকাশনা। ‘ফ্রেন্ড অফ ইন্ডিয়া’, ‘সমাচার দর্পণ’ ও ‘দিগদর্শন’ নামে তিনটি পত্রিকা তাঁর চেষ্টায় প্রকাশিত হয়। সাপ্তাহিক ‘সমাচার দর্পণ’ মে ১৮১৮ খ্রিঃ প্রকাশিত হয়। গঙ্গাকিশোরের স্বল্পস্থায়ী ‘বাঙ্গালা গেজেট’ বাদ দিলে এটিই বাংলায় প্রথম সাপ্তাহিক। দিগদর্শন মাসিক পত্রিকাটি তাঁর আগের মাসে মার্শম্যান প্রকাশ করেন। ১৮২৬ খ্রিঃ তিনি একবার স্বদেশে যান ও ফেরার পথে ডেনমার্কের রাজার কাছে শ্রীরামপুর থিওলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন সংগ্রহ করেন। ফলে শ্রীরামপুর কিয়েল ও কোপেনহেগেনের মতো সমান ক্ষমতাসম্পন্ন এবং ভারতের ডিভিনিটি-বিষয়ক উপাধি-প্রদানের ক্ষমতাসম্পন্ন একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হয়। রামায়ণের ইংরেজি অনুবাদ, শ্রীরামপুর কলেজ স্থাপন ও পত্রিকা প্রকাশ— এই তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য জোশুয়া মার্শম্যান বঙ্গবাসীর চিরস্মরণীয়।

১৮৪৪

দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় (১৮৪৪-১৮৯৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র অবস্থা থেকেই সমাজসংস্কারমূলক আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘অবলাবান্ধব’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। এই পত্রিকার মাধ্যমে তিনি তিনি সমাজের কুনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সমাজসংস্কারের চেষ্টা করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু মহিলা বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। তিনি এই বিদ্যালয় স্থাপন এবং ছাত্রিনিবাস প্রতিষ্ঠায় প্রধান উদ্যোগী ছিলেন। তিনি এই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকও ছিলেন। এই বিদ্যালয়টি আড়াই বছর পরে উঠে গেলে ১ জুন ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিদ্যালয়ের সূত্রেই তিনি ছাত্রীদের প্রবেশিকা পরীক্ষা এবং ও মহিলাদের মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশাধিকার বিষয়ের আন্দোলনে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেন। ১ অগাস্ট ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় বেথুন স্কুলের সঙ্গে মিশে যায়। তৎকালীন সমাজে মহিলাদের প্রাথমিক পর্যায়ের ঊর্ধ্বে বিদ্যাচর্চার প্রচলন সেভাবে ছিল না। দ্বারকানাথ এই মনোভাবের তীব্রতর বিরুদ্ধাচরণ করেন। নিজের ছাত্রীদের তিনি সর্বদা উচ্চশিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতেন। ফলস্বরূপ তাঁর ছাত্রী, ও পরবর্তীকালে তাঁর বিবাহিতা স্ত্রী, কাদম্বিনী বসু গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে স্নাতক উপাধি অর্জন করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দুই মহিলা স্নাতকদের মধ্যে কাদম্বিনী একজন।

১৯৫২

সুধীরলাল চক্রবর্তী (১৯১৬-১৯৫২) এদিন প্রয়াত হন। সুরকার ও সংগীতশিল্পী। ১৯৪৩-৪৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা বেতারকেন্দ্রের সংগীত পরিচালক। তাঁর গাওয়া ও সুরারোপিত বহু গ্রামোফোন রেকর্ড বের হয়েছে। তাঁর কাছে শ্যামল মিত্র, উৎপলা সেন, নীতা সেন এবং আরও অনেক সংগীতশিল্পী তালিম নিয়েছিলেন। শিল্পী কবীর সুমনের মতে, ‘‘সূক্ষ্ম অলংকারসমৃদ্ধ আধুনিক সুররচনায় কাজী নজরুল ইসলাম ও হিমাংশু দত্তর পর তিনিই শেষ সম্রাট।’’ ‘মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের বুকে ঝরে, মাকে মনে পড়ে আমার, মাকে মনে পড়ে’ গানটিকে অমর করেছিলেন তিনি।

১৮৭৯

রাজা দিগম্বর মিত্র (১৮১৭-১৮৭৯) এদিন প্রয়াত হন। হেয়ার স্কুল ও হিন্দু কলেজের ছাত্র এবং ডিরোজিওর শিষ্যদের অন্যতম। কর্মজীবনে শিক্ষক, কেরানি, তহশিলদার, জমিদারি এস্টেটের ম্যানেজার প্রভৃতি বিভিন্ন রকমের কাজ করেন। শেয়ার-ব্যবসায়ে প্রভূত অর্থ উপার্জন করে একজন ধনী জমিদার হন। ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে কাজ-কারবার থাকায় দ্বারকানাথ ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তিনি ভারতসভার সহ-সম্পাদক এবং পরে সভাপতি হন। ১৮৬২ সালে আয়কর সম্মেলনে ভারতসভার প্রতিনিধি, অবৈতনিক বিচারক, জাস্টিস অফ দি পিস, ১৮৬৪ সালে এপিডেমিক ফিভার কমিশনের একমাত্র ভারতীয় প্রতিনিধি, তিনবার ব্যবস্থাপক সভার মনোনীত সদস্য এবং ১৮৭৪ সালে কলিকাতার প্রথম বাঙালি শেরিফ ছিলেন। তিনি বহুবিবাহ-রদ আইন প্রবর্তনের এবং বিধবা বিবাহ প্রচলনের বিরোধিতা করেন।

১৯২০

যূথিকা রায় (১৯২০-২০১৪) এদিন হাওড়ার আমতায় জন্মগ্রহণ করেন। খ্যাতকীর্তি ভজন গায়িকা ছিলেন। চার দশকের সংগীতজীবনে ভক্তিমূলক ভজনগানে হিন্দি ও বাংলা চলচ্চিত্রে অসামান্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তিনি ২০০টির বেশি হিন্দি ও ১০০টির বেশি বাংলা চলচ্চিত্রে নেপথ্য সংগীতে কণ্ঠ দেন। ১৯৭২-এ ভারত সরকারের পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিতা হন তিনি।

১৯৬০

পান্নালাল ঘোষ (১৯১১-১৯৬০) এদিন প্রয়াত হন। ‘ফ্লুট-গড’। বাঁশের বাঁশির ঈশ্বর। ভারতীয় বাঙালি বাঁশিবাদক ও সুরকার। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে বাঁশিকে একটি অংশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাঁকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

Previous articleবহরমপুরে প্রবল চাপে অধীর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে ফের “গো ব্যাক” স্লোগান
Next article৪২-এ ৪২ ডাক দিয়ে প্রচারের ফাঁকে ক্যারাম খেললেন লক্ষ্যে অবিচল সায়নী