আদালতের রায়ে বাতিল ২৬ হাজার চাকরি! কীভাবে শিক্ষাদান? ভোটের কাজ!

কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের জেরে চাকরি হারাতে হল যোগ্যদেরও। এক লপ্তে প্রায় ২৬ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি চলে গেল। প্রশ্ন উঠেছে, যারা অযোগ্য, যারা অন্যভাবে চাকরি পেয়েছে, তাদের চাকরি বাতিল হলে কারও কিছু বলার নেই। কিন্তু যারা যোগ্য, যথাযথ পরীক্ষা দিয়ে নিয়ম মেনে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের চাকরি গেল কোন আইনে? এদের মধ্যে অনেকেই হাইকোর্টের রায়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাঁদের চাকরিও থাকল না।

লোকসভা নির্বাচন চলছে। স্কুলের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারী-সহ সরকারি কর্মীরা ভোটের ডিউটি করে থাকেন। সেই অনুযায়ী তাদের অনেক আগে থেকেই ট্রেনিং পর্ব ও বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং হয়। ইতিমধ্যেই কে কোথায় ডিউটি করবেন তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের এই নির্দেশের জেরে এখন তারা আর সরকারি কর্মচারী নন। ফলে ভোটের ডিউটি করার কোনও অধিকারই তাদের নেই আইনত। এখন প্রশ্ন, এই ২৬ হাজার ভোটকর্মী কোথা থেকে এই মুহূর্তে পাওয়া যাবে?

উচ্চমাধ্যমিকের খাতা দেখা চলছে সেখানেও এই শিক্ষকদের অনেকেই দায়িত্বে আছেন। এক্ষেত্রে ব্যাহত হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের খাতা দেখার বিষয়টিও। কীভাবে এর সুরাহা সম্ভব? স্কুলের কর্মচারীরা মিড ডে মিলের রান্নার তত্ত্বাবধানে থাকেন এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকেন। এই রায়ের ফলে তারা সে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। ফলে যেখানে নিয়ম করে মিড ডে মিল দিত সরকারি স্কুলগুলো সেসব জায়গায় কীভাবে নজরদারি চালানো হবে এই প্রশ্নগুলির উত্তর এখন কে দেবে? কীভাবেই বা দেবে? এখন এই সমস্যাগুলোর সুরাহা কীভাবে হবে তার কোনও জবাব মেলেনি। ফলে এই রায়ের কারণে শুধুমাত্র চাকরি হারানো নয় ভোটের সঙ্গে যুক্ত কমিশন এবং আরও অন্যান্য বৃহত্তর ক্ষেত্রেও সমাজের উপর এর প্রভাব পড়বে।

আরও পড়ুন- বিজেপির ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী