রায়গঞ্জে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার সভা থেকে কংগ্রেসকে তীব্র নিশানা করলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার, সভা মঞ্চ থেকে তিনি প্রশ্ন তোলেন, অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ থাকা সত্ত্বেও কোথা থেকে এত টাকা পাচ্ছে হাত শিবির? এদিন তাঁর সভামঞ্চে মহম্মদ মোস্তাফা, মিরাজুল আরফিন আজাদ-সহ কংগ্রেসের তিনজন ব্লক প্রেসিডেন্ট তৃণমূলে যোগদান করেন।

কংগ্রেস-সিপিএমকে (Congress-CPIM) একতিরে নিশানা করেন তৃণমূল সভানেত্রী। এই দুই দলই প্রার্থী দিয়ে বিজেপির (BJP) সুবিধা করছে বলে অভিযোগ তাঁর। এদিন তীব্র খোঁচা দিয়ে মমতা বলেন, ”নিজে জিতবে না ভাল করে জানে কংগ্রেস, বলছে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। একটা অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। বলছে টাকা নেই। যদিও সমর্থন করি না অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা। তোমাদের টাকার অভাব? তেলঙ্গানায় সোনার খনি। কর্নাটকে তোমরা ক্ষমতায়। হিমাচলে কাদের সরকার? তামিলনাড়ুতে যৌথ ভাবে সরকারে। আমরা একটা রাজ্যে। আমরা করি না বলে আমাদের বদনাম করে।”
আরও একবার তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়ে দেন, ”দিল্লিতে জোটের সরকার হলে আমরা যোগ দেব। কিন্তু বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল একা লড়বে। কারণ কংগ্রেস এবং সিপিএম বিজেপির দুটো চোখ। আমারা যে কথা ইস্তেহারে দিয়েছি সেগুলো সব রাখব। দিল্লিতে বাংলার একটা বড় রোল আছে। বাংলা ছাড়া কিছুই হবে না।”

রায়গঞ্জে কংগ্রেসের প্রার্থী আলি ইমরান রামজকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নাম না করে বলেন,”তাঁর নাকি টাকা নেই! দেব একটা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। লোকের থেকে আঁচল পেতে টাকা নিচ্ছেন। সব নিজের কাছে রাখবেন। উত্তর দিনাজপুরে আপনার ফসল চলছে। কোথা থেকে আসছে টাকা?” এই কেন্দ্রে ভোট কাটার জন্য কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে বলে অভিযোগ মমতার (Mamata Banerjee)।

মমতা সভায় জেলার তিন কংগ্রেস ব্লক সভাপতি যোগদান করেন তৃণমূল। ইসলামপুরের সাদিকুল ইসলাম, গোয়ালপোখরের নুর হাসান ও চাকুলিয়ার মহম্মদ মোস্তফা হাত ছেড়ে জোড়াফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন।
