BJP-কে পাহাড়ে ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড পেশের চ্যালেঞ্জ অভিষেকের, ১১টি জনজাতিকে প্রতিশ্রুতি

বিজেপির দার্জিলিংয়ের প্রার্থীকে আপনার বিপদে দুঃখে দেখা যায়নি। বাড়ি দিল্লিতে। আপনার ভোট নিয়ে দিল্লির তলপিবাহকতা করে আপনাদের একশো দিনের টাকা বন্ধ করেছে রাজু বিস্তা

দশ বছর ধরে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র দখল করেছে বিজেপি। তার আগেও কংগ্রেস-বামেদের হাতে ছিল এই কেন্দ্র। অথচ উন্নয়নের নিরিখে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে। দার্জিলিংয়ের মানুষের দাবি নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারেরর কাছেও কোনও বিষয়ে দরবার করেনি বিজেপি সাংসদরা। এবার দার্জিলিংয়ে নির্বাচনী প্রচার থেকে বিজেপি সাংসদদের রিপোর্ট কার্ড পেশের চ্যালেঞ্জ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে প্রথমবার পাহাড়ে ক্ষমতায় তৃণমূল এলে তিন গুণ উন্নয়ন দিয়ে প্রমাণ করার প্রতিশ্রুতিও দিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

২০০৯ সালে প্রথমবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির সাংসদ হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিং। এরপরের নির্বাচনেও এই কেন্দ্রে জয়লাভ করে বিজেপি, সাংসদ হন এস এস আহলুওয়ালিয়া। সর্বশেষে এখান থেকে ২০১৯ সালে সাংসদ হন রাজু বিস্তা। সেই বিজেপি জমানাকে চ্যালেঞ্জ করে অভিষেকের দাবি, “বিজেপির দার্জিলিংয়ের প্রার্থীকে আপনার বিপদে দুঃখে দেখা যায়নি। বাড়ি দিল্লিতে। আপনার ভোট নিয়ে দিল্লির তলপিবাহকতা করে আপনাদের একশো দিনের টাকা বন্ধ করেছে রাজু বিস্তা।”

তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে নির্বাচনী প্রচারে ইস্যু ধরে ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ করেন দার্জিলিংয়ের মানুষের ভোট নিয়েও কীভাবে তাঁদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন। তিনি তুলে ধরেন, “চা বাগানের মানুষের প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে দীর্ঘ সমস্যা। রাজু বিস্তা একটা চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রের কাছে? দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ির কোনও গ্রামে কেন্দ্রের কোনও অনুষ্ঠান দশ বছরে হয়নি। কেন্দ্র সরকার ১০ পয়সার বাড়তি সুযোগ সুবিধা দেয়নি।” সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, “আপনার ভোটে জিতে এই বিজেপির নেতা সাংসদরা আপনার টাকা বন্ধ করেছে। এদের হাত আগামীদিন শক্তিশালী হলে ২৬ তারিখের ভোট আপনার জীবনের শেষ ভোট হবে।”

শুক্রবার নির্বাচনের আগে ১০ বছরে বিজেপি দার্জিলিংয়ের জন্য কী করেছেন তাকে চ্যালেঞ্জ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, “বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করব এখনও দুদিন সময় আছে। বিজেপির কোনও সর্বভারতীয় রাজ্য নেতার ক্ষমতা থাকলে ১০ বছরের দার্জিলিংয়ের আর শিলিগুড়ির রিপোর্ট কার্ড নিয়ে এসে মানুষের সামনে তুলে ধরুক। একদিকে আমি থাকব, আরেক দিকে বিজেপির নেতা থাকবে। ধর্মের নামে নয়, কর্মের নাম প্রতিযোগিতা হবে তথ্য পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে লড়াই হবে।” সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন ক্ষমতায় এলে “আপনাদের ঋণ তিনগুণ উন্নয়ন দিয়ে প্রমাণ করব”।

বিজেপির নেতা এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতি কতটা ভাঁওতা তাও মঙ্গলবার পরিসংখ্যান দিয়ে পেশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গোর্খা জনজাতিকে ২০১৬ সালে বলে গিয়েছিল আমরা তপশিলি উপজাতি তালিকাভুক্ত করব। গত সপ্তাহে শিলিগুড়িতে বসে এদের সবার সঙ্গে কথা বলেছি। চারদিন আগে তৃণমূলের ইসতেহার প্রকাশিত হয়েছে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে ছয়মাসের মধ্যে জিটিএ করে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। একইভাবে ৪ তারিখ দিল্লিতে মানুষের স্বার্থে কাজ করা ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল সরকার তৈরি হবে। আর আমরা এই ১১টি গোর্খা জনজাতিকে তপশিলি তালিকাভুক্ত করব, গ্যারান্টি দিয়ে যাচ্ছি।”

Previous articleনির্বাচনী প্রচারে রণবীরের ডিপফেক ভিডিও! আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন অভিনেতা!
Next articleশাস্তি পাওয়ার পরও রাগ কমছে না বিরাটের, এবার বোঝালেন ইঙ্গিতে