Saturday, November 22, 2025

একই নির্বাচনে দুবার ভোট! কীভাবে আটকাবেন ‘কারচুপি’ হয়রান প্রশাসন

Date:

Share post:

একদিন লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতেই যখন সাধারণ মানুষ হিমসিম তখন ১৪টি গ্রামের মানুষকে ভোট দিতে হয় দুবার! প্রশাসনিক টানাপোড়েনে দুই রাজ্যের বাসিন্দা এই গ্রামগুলির প্রায় ৫ হাজার মানুষ। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (Loksabah Election 2024) প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ভোট দেওয়ার পর তাঁরা অপেক্ষা করছেন ১৩ মে আবার তেলেঙ্গানার (Telengana) নির্বাচনের দিন ভোট দেওয়ার। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলা প্রশাসন চাইছে ১৯ এপ্রিল ভোটের কালির দাগ যেন তাড়াতাড়ি উঠে না যায় ভোটারদের হাত থেকে।

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা (federal system) কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে ভারতে তার প্রমাণ মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানার সীমানায় চন্দ্রপুর জেলার তাড়োবা ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য সীমান্তবর্তী ১৪টি গ্রামের বাসিন্দারা। একদিকে মহারাষ্ট্র সরকার দাবি করে এই গ্রামগুলি তাদের অন্তর্গত। অন্যদিকে এক সময়ের অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) দাবি করে এসেছে গ্রামগুলি তাদের এলাকার মধ্যে পড়ে। সেই ধারা বজায় রেখে বর্তমানে তেলেঙ্গানা সরকার দাবি করে গ্রামগুলি আসলে তাদের প্রশাসনিক এলাকায়। এখানে বাস থেকে অটো পরিষেবা দিয়ে থাকে তেলেঙ্গানা। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের রাজুরার বিধায়ক সুভাষ ধোতের (Subhash Dhote) পাশাপাশি তেলেঙ্গানার কুমারাম ভীম এলাকার আসিফাবাদের বিধায়ক কোভা লক্ষ্মী (Kova Lakshmi) এই এলাকায় পরিষেবা দেন।

১৯৫৬ সালে মহারাষ্ট্র রাজ্য তৈরি হওয়ার পরে এই গ্রামগুলি তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়। সমস্যা বাধায় অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশ। ১৯৮০ সাল থেকে তারাও এলাকার দাবিদার হিসাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া চালাতে শুরু করে। একটা সময় গ্রামের পুরুষরা মহারাষ্ট্রে আর গ্রামের মহিলারা তেলেঙ্গানায় ভোট দিতেন। এখন তাঁরা অপেক্ষা করেন কত তাড়াতাড়ি হাতের ভোটের কালি উঠে যাবে, তবে তাঁরা অন্য রাজ্যের ভোটে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। দুই রাজ্যের ভোটার হিসাবে অনেকেই গর্ববোধ করেন, দুই রাজ্যের প্রশাসনে অংশ নিতে পেরে। তবে অনেকেই দুই প্রশাসনের এই টানাপড়েন থেকে দ্রুত রেহাই চান।

মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর (Chandrapur) জেলা প্রশাসন অবশ্য দাবি করছে এভাবে দুবার ভোট দেওয়া বেআইনি। এশাপুর, অন্তপুর, মুকদমগুদা থেকে লেন্ডিজালা গ্রামের মানুষ ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের প্রথম দফা নির্বাচনের সময় ভোট দিয়েছেন। তাঁদের আঙুলে পড়ে গিয়েছে ভোটের কালি। এখন এই কালি ১৩ মে পর্যন্ত থেকে গেলে তাঁরা আর তেলেঙ্গানার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। প্রশাসনও চাইছে এই কালি আরও বেশিদিন টিকে যাক।

spot_img

Related articles

রিল-রিয়েল একাকার! ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’-এ থানায় ছুটলেন মদন

একেই বোধহয় বলে, "ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে"। "দাদা একটু আসুন, আপনি না এলে হবে না", "আমার নির্দোষ...

প্রিমিয়ারেই জমজমাট গৃহকর্মীদের রোজনামচার ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’

শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী ওঁরা রোজ আসেন, রোজ কাজ করেন, সমস্ত রকম নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যের পরিষেবা দেন। কিন্তু ওঁদের নিয়ে গল্প...

টেকনিশিয়ানদের টাকা বাকি রেখে কুৎসা রটাচ্ছেন রুদ্রনীল! তথ্য দিয়ে ধুয়ে দিলেন স্বরূপ

নিজে টাকা বাকি রেখে উল্টে ফেডারেশনের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা ছড়াচ্ছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)! শুক্রবার সাংবাদিক...

কাজের চাপে শীতলকুচিতে মর্মান্তিক মৃত্যু বিএলও-র! পরিবারের পাশে রাজ্য

অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা—এই দুইয়ের মাঝেই শেষ হল শীতলকুচির বিএলও ললিত অধিকারীর জীবনযাত্রা। বেশ কয়েকদিন ধরেই...