Saturday, July 5, 2025

মনোনয়ন প্রত্যাহার কংগ্রেস প্রার্থীর! রাজস্থানের পর মধ্যপ্রদেশেও বেহাল হাত

Date:

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের (Indore) কংগ্রেস প্রার্থী শেষ মুহূর্তে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এবার মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) বিপাকে কংগ্রেস। এমনকি কংগ্রেস প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বলেও দাবি করছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijaybargiya)। তবে উত্তর ভারতে কংগ্রেস যে নিজেদের জমি হারিয়েছে সেটা ডিসেম্বরের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময় টের পাওয়া গিয়েছিল। বিজেপি বিরোধী সরকার গড়তে চলা জোটকে নিয়ন্ত্রণ করার দাবিদার কংগ্রেসের এখন পরিস্থিতি এমনই যে নির্বাচন শুরুর আগেই তারা বিজেপিকে ওয়াক ওভার (walkover) দিয়ে দিচ্ছে একাধিক রাজ্যে।

গুজরাটের সুরাটে (Surat) কংগ্রেসের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় নির্বাচনের আগেই সেখানকার বিজেপি প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পরই বাকি আট প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়, মোদির নিজের রাজ্যে একনায়কতন্ত্র এতটাই কায়েম। এবার মধ্যপ্রদেশে মনোনয়নের শেষদিন প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিলেন অক্ষয় বাম (Akshay Bam)। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী সুরাটের পরে এখনও সতর্ক হয়নি কংগ্রেস শিবির। যেভাবে বিভিন্ন নির্বাচনের আগে অপারেশন লোটাস চালিয়ে বিরোধী দলের প্রার্থী কর্মী হাইজ্যাক করে বিজেপি, তা থেকে নিজেদের কর্মী, প্রার্থীদের রক্ষা করার কোনও পথ তৈরি করেনি কংগ্রেস।

সুরাটের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির (Nilesh Kumbhani) সই সংক্রান্ত সমস্যায় স্ক্রুটিনির (scrutiny) শেষ দিন তাঁকে নির্বাচন কমিশন ত্রুটি নিয়ে জানায়। কিন্তু সেই সই সংশোধন করার জন্য তিনি কমিশনে যাননি। প্রতিবাদে স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা তাঁর তালাবন্ধ বাড়ির সামনে বিক্ষোভও দেখান। পরে কুম্ভানির অন্তর্ঘাতের আশংকায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে কংগ্রেস। গুজরাটে প্রতিরোধ তো দূরের কথা, কংগ্রেস নিজের ঘর বাঁচাতে কতটা ব্যর্থ তা সুরাটের ঘটনায় প্রমাণ হয়েছিল।

মধ্যপ্রদেশের ক্ষেত্রে দেখা গেল মধ্যপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কেন্দ্র ইন্দোরের কংগ্রেস প্রার্থীই মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন। শুধু তাই নয়, তিনি বিজেপিতে যোগও দিলেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিজের কেন্দ্রের প্রার্থীকে নিয়েই কী কোনও খোঁজ রাখতেন না, তিনি তলায় তলায় বিজেপি বা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র মতো নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের। যে দলের নেতারা নিজেদের দলের প্রার্থী পদের দাবিদার নেতা কর্মীদের খোঁজ রাখেন না, তাঁরা বিজেপির পতনের পরে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা কীভাবে বলেন, প্রশ্নে অনেক রাজনৈতিক দলের। যদিও এই ঘটনার পরে কংগ্রেসের তরফ থেকে কোনও বক্তব্য পেশ করা হয়নি।

Related articles

সিরাজ, আকাশের দাপটে ফ্রন্টফুটে ভারত

বল হাতে দ্বিতীয় দিন দুরন্ত ফর্মে সিরাজ (Mohammed Siraj) ও আকাশদীপ (Akashdeep)। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবার বড় লিডের লক্ষ্যে...

উত্তর কলকাতায় বাড়ি থেকে উদ্ধার জোড়া মৃতদেহ! মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা

শুক্রবারের বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় শহর কলকাতায় জোড়া রহস্যমৃত্যু। উত্তর কলকাতার আর্মহার্স্ট স্ট্রিট থানা (Amherst Street Police Station) এলাকার এক...

খড়্গপুরের প্রহৃত বামনেতার বিরুদ্ধেই ‘শ্লীলতাহানি’র অভিযোগ বেবির, মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি অনিলের স্ত্রীর

খড়্গপুরের বাম নেতা অনিল দাস (Anil Das) ওরফে ভীমবাবুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করার হুমকি দিলেন আইনজীবী ললিত...

ভোটের আগে ফের বিজেপির ডেইলি প্যাসেঞ্জারি ট্রেন্ড, ১৮ জুলাই রাজ্যে মোদি

বিধানসভা নির্বাচন (WB Assembly Election) যত এগিয়ে আসবে ততই এ রাজ্যে বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা বাড়বে -...
Exit mobile version