যাদবপুরকাণ্ডের স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বল করছে সদ্য মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়ার মনে। বহু কাউন্সিলের পরেও আজও সে ভুলতে পারেনা দাদার স্মৃতি। পড়াশুনায় কৃতী তার দাদা মাধ্যমিকে পেয়েছিল ৮৭ শতাংশ নম্বর। অঙ্কের যে কোনও জটিল সমস্যার সমাধান ছিল তার কাছে জলভাত। তাই বৃহস্পতিবার মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হতেই ফের বারেবারে মনে পড়ৃছে দাদার কথা। বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দাদার স্তূপাকার বইগুলো মনে করিয়ে দেয় প্রয়াত দাদার কথা।

দাদার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাস কয়েক আগে উত্তাল হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তার বাবারও আক্ষেপ, এক বৃহস্পতিবারে বড় ছেলে চলে গিয়েছিল, আর এক বৃহস্পতিবারে ছোট ছেলে কোনওক্রমে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোল। আজ ওর দাদা বেঁচে থাকলে ভাইয়ে নিজেই বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়াতো। কেননা রান্না করতে খুব ভালবাসত বড়টা। তিনি আরও বলেন, যে দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় ছেলেকে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলাম ছোটটাকে নিয়ে। ক্যাম্পাসে পৌঁছে যাওয়ার পর হঠাৎই অঝোরে কাঁদতে শুরু করেছিলাম তিন জনেই। জানিনা কেন সেই কান্না এসেছিল, তখন কেউই বুঝতে পারিনি। হয়তো সে চলে যাবে বলেই সবার চোখে জল এসেছিল!

দাদার মৃত্যুটা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেনি ভাই। এখনও রাজ্যের একটি সরকারি হাসপাতালে মাসে এক বার করে কাউন্সেলিং করাতে হয় তাকে। তবে নিহত পড়ুয়ার বাবার সাফ বক্তব্য, ছেলের বিচার পাওয়ার জন্য তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।
