ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর দেড়টা। গমগম করছে পঞ্চায়েত অফিস। দফতরের কর্মী সহ সাধারণ মানুষের আনাগোনা। সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। আচমকা গুলির শব্দ। লোকসভা ভোটের আবহে যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার বাঁকড়ায়! ঘটনায় একজন গুরুতর আহত। আরও দুজন জখম হয়েছেন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নামলো হয়েছে র্যাফ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, হাওড়ার বাঁকড়ায় তিন নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে মুখ ঢেকে আচমকা গুলি চালিয়ে পালায় জনা তিনেক দুষ্কৃতী। প্রত্যক্ষদর্শীদের আরও দাবি, চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। দুষ্কৃতীরাদের টার্গেটে ছিলেন, পঞ্চায়েত প্রধান। মূলত তাঁকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা পান প্রধান। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পঞ্চায়েত কর্মীরা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের বাবা এবং কাকা-সহ মোট তিন জন জখম হয়েছেন। পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি শেখকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়। প্রাণ বাঁচাতে টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়েন টুকটুকি। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি বলেন, ‘‘আমরা অফিসের মধ্যে বসেছিলাম। আমি সই করছিলাম। তিন জন ঢোকে। আমার কথা জিজ্ঞাসা করে। তার পরেই পকেট থেকে বন্দুক বার করে গুলি চালাতে শুরু করে। আমার বাবা, কাকার গায়ে গুলি লেগেছে। আমাকেও টার্গেট করা হয়। আমি প্রাণ বাঁচাতে টেবিলের তলায় ঢুকে পড়ি। একটা বন্দুক কেড়ে নিয়েছি। প্রাক্তন সদস্য শেখ সাজিদই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ওঁর লোকেরাই গুলি চালিয়েছে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই পরিচয় গোপন করতে মুখ ঢেকে এসেছিল। তারা কেউ এলাকার নয়। তবে প্রাক্তন এক সদস্যের নাম উঠে আসছে এই ঘটনার পিছনে। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সাজিদের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- ভোটের মুখে দিল্লি মহিলা কমিশনের ২২৩ কর্মীকে ছাঁটাই লেফ্টেন্যান্ট গভর্নরের