“আত্মবিশ্বাসটাই আসল কথা”, ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী চন্দ্রচূড়ের

নিয়ম মেনে পড়াশুনা করার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। চলতি বছরের মাধ্যমিকে (Madhyamik Result) ৭০০ মধ্যে ৬৯৩ নম্বর পেয়ে জানালেন কোচবিহারের (Coochbehar) রামঘোলা হাই স্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন (Chandrachur Sen)। ভবিষ্যতে নিট ইউজি-তে উত্তীর্ণ হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখে চন্দ্রচূড়। তার কথায়, ‘‘আমি বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চাই। আমার মা-বাবাও চান আমি চিকিৎসক হই। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগোব।’’চন্দ্রচূড়ের বাবা সুশান্ত সেন বলেন, ‘‘ছোট থেকেই এই দিনের আশায় ছিলাম। কখনও দ্বিতীয় হয়নি, সব ক্লাসেই প্রথম হয়ে এসেছে চন্দ্রচূড়। এক থেকে দশের মধ্যে নাম থাকবে আশা ছিল। তবে, প্রথম হবে সেটা কখনও ভাবিনি। তবে শুধু পড়াশনাই নয় তার পাশাপাশি কবিতা, গান, গল্পের বই পড়া, সাহিত্য চর্চাতেও নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন চন্দ্রচূড়। তাঁর কথায় বাঁধা ধরা নিয়ম মেনে নয় বরং পড়াশনাকে সিরিয়াসলি নিয়ে এগোতে চাইলে ভাল ফল করা সম্ভব।

চলতি বছর মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হয়েছে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের ছাত্র সাম্যপ্রিয় গুরু। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। লেখাপড়ার পাশাপাশি গান বাজনা বেশ পছন্দ সাম্যপ্রিয়র। প্রিয় শিল্পী অরিজিৎ সিং এবং দর্শন রাওয়াল। বিজ্ঞান নিয়েই পড়াশোনা করে আগামীর দিকে এগিয়ে যেতে চায় সে। তৃতীয় স্থান পেয়েছে তিনজন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাই স্কুলের ছাত্র উদয়ন প্রসাদ। বীরভূমের নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভ স্কুলের ছাত্রী পুস্পিতা বাঁশুরি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণের ছাত্র নৈঋত পাল। নৈঋতের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। মিশনের মহারাজদের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিতে চান এই পড়ুয়া। পুস্পিতা তৃতীয় স্থান অধিকার করে উচ্ছ্বসিত। কিন্তু ডাক্তার নয় বরং ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার লক্ষ্যে আগামীতে পড়াশুনা করতে চান তিনি। পরিবারের লোকেরা বলছেন মেয়ে ছোট থেকেই মেধাবী, তাই ওর ইচ্ছেই শেষ কথা।