আগামী ৭ মে তৃতীয় দফা ভোট। তারপরও বাকি থাকবে রাজ্যের আরও চার দফা ভোট। এবার প্রার্থীদের ‘নো ডিউজ সার্টিফিকেট’ নিয়ে কড়া অবস্থান নিল কমিশন।কমিশনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কারও ‘নো ডিউজ সার্টিফিকেট’ আটকে রাখা যাবে না। ‘নো ডিউজ সার্টিফিকেট’ দেখাতে না পারায় সম্প্রতি বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের প্রার্থী পদ বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।কোচবিহারের পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন আইপিএস দেবাশিস ধর। একুশের বিধানসভা ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচি কাণ্ডের পর তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। পরে সাসপেনশন প্রত্যাহার হলেও কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে রাখা হয় তাঁকে। দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের বিভাগীয় তদন্ত চলছে। ইস্তফা দিলেও নবান্ন থেকে এখনও তাঁকে রিলিজ দেওয়া হয়নি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেকশন ৩৬ অফ রিপ্রেসেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্ট অনুযায়ী, যদি কোনও প্রার্থী সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হন, তাঁকে ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট জমা করতে হয়। বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী সেই সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেননি। তাই তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ফর্ম ২৬ পূরণ করে হলফনামা জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু দেবাশিস ধর তা করেননি। কমিশনের মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২৬ এপ্রিল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা। তাঁর বক্তব্য ছিল, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র থাকার পরও তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল হয়েছে। কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ এই মামলাটি গ্রহণ করেনি। এরপরই গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দেবাশিস। যদিও শীর্ষ আদালত এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে দেবাশিসবাবুকে কমিশনের কাছে যেতে বলেন। এরপরই কমিশনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কারও ‘নো ডিউজ সার্টিফিকেট’ আটকে রাখা যাবে না।
