সন্দেশখালিতে ভুয়ো ধর্ষণের অভিযোগ! বিজেপির ঘৃণ্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে দেশ

সন্দেশখালিতে সাদা কাগজে সই করিয়ে ধর্ষণের মামলা সাজিয়েছে বিজেপি (BJP)! ভাইরাল ভিডিওতে সেই চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গিয়েছে (সেই ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ব বাংলা সংবাদ’)। সাংবাদিকদের সামনে দুই মহিলা পুরো ঘটনার মিথ্যে অভিযোগের প্রতিবাদ করেছেন। নিয়তি মাইতি ও মিতা মাইতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁদের কেউ যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণ করেনি। এই ঘটনায় একেবারে শোরগোল পরে গিয়েছে গোটা দেশজুড়ে। এই নিয়ে আবারও বিরোধীদের নিশানায় মোদির নেতারা।

এরপরেই বিজেপির (BJP) এই জঘন্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে দেশ। দল-মত নির্বিশেষে সবাই পদ্ম শিবিরের এই ঘৃণ্য রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন।

দক্ষিণী অভিনেতা তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেতা প্রকাশ রাজ বিজেপিকে একহাত নিয়েছেনষ নিজের এক্স হ্যান্ডে তিনি লেখেন, “নির্বাচনে জেতার জন্য এই কাণ্ড! অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ। ছিঃ ছিঃ”

ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফে এক্স হ্যান্ডেলে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখা হয়েছে,”মিথ্যের পর্দা সরা শুরু হয়েছে গিয়েছে, মিডিয়া এখন স্বৈরশাসকের হাত থেকে মুক্তি চায়।”

তীব্র কটাক্ষ করে ইউটিউবার ধ্রুব রাঠি লেখেন, “একের পর এক সব ভুয়ো প্রোপ্যাগান্ডা ঝরে পড়ছে।”

প্রথম থেকে বিষয় নিয়ে সরব তৃণমূল। বিজেপি নোংরা রাজনীতির তীব্র নিন্দা করেছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব কটাক্ষ করে লেখেন, “বাংলার মহিলাদের সঙ্গে ‘পাঙ্গা’ নেবেন না, নরেন্দ্র মোদির ভক্ত – তুমিও মুখ থুবড়ে পড়বে।”

তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখেল লিখেছেন, “বাংলাকে অপমান করার জন্য সন্দেশখালিতে মহিলাদের ভুয়ো ধর্ষণের মামলা করতে বাধ্য করেছে বিজেপি। মোদি আবারও প্রমাণ করলেন যে তিনি নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে ঘৃণ্য পর্যায়ে যেতে পারেন।” সাকেত প্রশ্ন তুলেছেন, “আশ্চর্যের বিষয়, এখন কোথায় সেই মিডিয়া হাউসগুলি যারা বিজেপির সন্দেশখালি নিয়ে অবিরাম প্রচার চালিয়েছিল?”

রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা লেখেন, “ভালোরা সবসময় খারাপকে হারিয়ে জয়ী হয়! সন্দেশখালিতে বিজেপি যে ষড়যন্ত্র করেছে, তা আমাদের মা-বোনদের সম্মানকে আঘাত হেনেছে। বিজেপি=বাংলা-বিরোধী=নারী-বিরোধী।”

সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূলের তরফে সামাজিক মাধ্যমে জানানো হয়েছে, “তথাকথিত সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ কে? মুখোশই বা কে? গঙ্গাধর কয়ালের ভাইরাল ভিডিয়োয় স্পষ্ট, বিজেপির কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েই নিজেকে ‘নির্যাতিতা’ বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। এদিকে, ফাঁস হওয়া অন্য একটি পুরোনো ভিডিয়োয় সেই রেখা পাত্রই দাবি করছেন, ‘সন্দেশখালির নির্যাতিতা’ বলে যাঁদের মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাঁরা আসল নির্যাতিতা নন!তাহলে কি সন্দেশখালিজুড়ে এত ভুয়ো নির্যাতিতা রয়েছেন, যে তাঁরা একে-অপরকে চেনেনও না? শুভেন্দু অধিকারীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই ষড়যন্ত্রের শিকড় যে কতটা গভীর, এর থেকেই তা প্রমাণিত।”





Previous articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম 
Next articleসন্দেশখালির মা-বোনেদেরই অপমান করেছে বিজেপি: শশী পাঁজা