তমলুকের বিজেপি প্রার্থী তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই মামলা ছাড়লেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তমলুক থানায় দায়ের হওয়া এফআইআর-কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলা থেকেই সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। নিয়ম অনুসারে, মামলা এবার ফেরত যাবে প্রধান বিচারপতির কাছে। নতুন এজলাস ঠিক করবেন প্রধান বিচারপতি।

এ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, ”বিচারপতি মনে করেছেন তিনি যদি মামলা লড়েন তাহলে অসুবিধা হতে পারে। এই বিষয়ে আলাদা কোনও বক্তব্য নেই। তবে একটাই কথা বলতে চাই, বিচার ব্যবস্থা কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেলে কোনও একজনের মামলা কে শুনবেন কী শুনবেন না, তা নিয়ে আলোচনা করতে হয়। এর মূল কারিগর ভারতীয় জনতা পার্টি। ভারতবর্ষের সবচেয়ে আস্থার যে জায়গা, তার গলা টিপে শেষ করে দিল ভাবতেও কষ্ট হয়।”
উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাবসর নিয়ে বিজেপির জার্সি গায়ে চাপানো অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রোড-শো করে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময়ে চাকরিহারাদের ধর্নামঞ্চ থেকে ‘চোর’ স্লোগান দেওয়া হয়। পাল্টা বিজেপি কর্মীরাও স্লোগান দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বচসা থেকে দু’পক্ষের মধ্যে কার্যত হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। আহত হন বেশ কয়েকজন চাকরিহারা শিক্ষক। আহতদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন। এই ঘটনায় অভিজিতের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠন। অভিজিতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, মহিলাদের সম্ভ্রমহানি, মারধর সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই মামলার বিরুদ্ধেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী। আর সেই মামলা থেকেই নিজেকে সরিয়ে নিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
