পুর-এলাকায় বেআইনি নির্মাণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার

রাজ্যের পুর এলাকাগুলিতে (urban areas of the state) বাড়ছে বেআইনি নির্মাণ (Illegal constructions are increasing)। এই প্রবণতা আটকাতে এবার কড়া পদক্ষেপের পথে কলকাতা পুরসভা (KMC) । রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর (State Public Works and Urban Development Department) বেআইনি নির্মাণ আটকাতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে। নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি চার দফা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। সম্পত্তির মিউটেশন বা নাম পত্তনের আগে বিল্ডিং প্ল্যানের ছাড়পত্র এবং কাজ শেষের শংসাপত্র পরীক্ষা করে দেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কলকাতা পুরসভা (KMC) ইতিমধ্যেই অবৈধ নির্মাণ খুঁজতে রাজ্যের প্রত্যেকটি পুর এলাকায় বিশেষ পরিদর্শক দল গড়ে ওয়ার্ড ভিত্তিক সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে। কোনও জায়গায় বেআইনি নির্মাণ খুঁজে পেলে তৎক্ষণাৎ সেখানে পানীয় জলের সংযোগ ছিন্ন করে দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মালিকের পাশাপাশি প্রকল্পের ছাড়পত্র দেওয়া ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের পুর আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আইন না মানলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং পাঁচ বছর কারাদণ্ড। কলকাতা শহরে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে অবলুপ্ত ‘গার্ড’ প্রথা ফিরিয়ে আনছে পুরসভা। কেএমসি জানিয়েছে, এবারে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রথা চালু হবে। এর আগে বাড়ি বা আবাসন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্ল্যান অনুমোদনে বিল্ডিং বিভাগের তরফে গার্ড নিয়োগ হত। এর মাধ্যমে বিল্ডিংয়ের প্ল্যানের উপরে নজরদারি করা হত। এবার সেই ব্যবস্থাই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বেআইনি নির্মাণের প্রবণতা আটাকাতে আমরা বিভিন্ন নির্মাণ ক্ষেত্রে গার্ড রাখব। আগে যাঁরা গার্ডের চাকরি করতেন, তাঁরা সকলে অবসর নিয়েছেন। এ বার বেসরকারি সংস্থা গার্ডের ব্যবস্থা করবে। বাড়ির মালিক বা আবাসন নির্মাতাকে গার্ডের খরচ দিতে হবে। ট্যাক্সের বিলে সেই খরচ যুক্ত হবে। পুরসভা বেসরকারি সংস্থাকে তার পাওনা মিটিয়ে দেবে।’ শুধু অনুমোদিত বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে নয়, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের যে বেআইনি নির্মাণের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রেও একই ভাবে গার্ড নিয়োগ করা হবে। কারণ, বেআইনি অংশে প্রোমোটার বা ডেভলপারদের তাড়াহুড়ো করে লোক ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। পরে সেই সব জায়গা থেকে আবাসিকদের বের করে দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই আগে থেকেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে চাই কলকাতা পুরসভা (KMC)।

 

Previous articleনির্বাচনের মাঝেই নাগরিকত্বের শংসাপত্র! স্বীকৃতি পেলেন ১৪ জন
Next articleগ্রেফতারির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দেশখালির অভিযুক্ত পিয়ালী