‘জানা নেই’! হলফনামায় স্ত্রী যশোদাবেনকে নিয়ে ‘ঢোক গিলতে’ই বিতর্কে মোদি

মঙ্গলবারই বারাণসীতে (Varanasi) মনোনয়নপত্র (Nomination) জমা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছে জমা দেওয়া হলফনামা নিয়েই শুরু বিতর্ক‌। সূত্রের খবর, কমিশনের কাছে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় স্ত্রী হিসাবে যশোদাবেন মোদির (Yashodaben Modi) নাম উল্লেখ করলেও তাঁর আয় কিংবা ফোন নম্বর কিছুই জানাতে পারলেন না মোদি। হলফনামায় স্ত্রীর পরিচয় দিলেও মোদি লিখেছেন এই সংক্রান্ত কোনো তথ্যই নাকি জানা নেই তাঁর। আর মোদির এমন পাল্টিবাজিকে হাতিয়ার করে লোকসভা নির্বাচনের আবহে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে যেখানে বিরোধীদের লাগাতার হেনস্থা করছেন মোদি, সেখানে নিজের হলফনামায় স্ত্রীর নামে কেন ঢোক গিলছেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।


তবে এই প্রথম নয়, রাজনীতিতে সরাসরি প্রবেশের পর থেকেই নিজের স্ত্রীকে একেবারে জীবন থেকে মুছে ফেলতে দেখা গিয়েছে মোদিকে। এমনকি স্ত্রী বর্তমান থাকলেও একাধিকবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে তিনি নাকি বিয়েই করেননি। যদিও বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় তাঁদের। এরপরই নিজের বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন যশোদাবেন। পাশাপাশি ১৯৭৮ সাল থেকে গুজরাটের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করে জীবন অতিবাহিত করলেও বর্তমানে অবসরের পর পেনশনের টাকাতেই চলে সংসার। মঙ্গলবার মোদি হলফনামা জমা দিলেও যশোদাবেন সম্পর্কে তিনি যে কোনওরকম খবর রাখেন না তা ফের প্রমান করতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী।


তবে বিপদে পড়লে বা পরিবারে খারাপ সময় এলেই মোদির পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে যশোদাবেনকে। মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদির হলফনামা অনুযায়ী, গাড়ি, বাড়ি এমনকী নিজের কোনও জমি না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি টাকার কিছু বেশি। হিসেব বলছে, মোদির হাতে নগদ রয়েছে ৫২ হাজার ৯২০ টাকা। গান্ধীনগর ও বারাণসীর দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁর জমা রয়েছে ৮০ হাজার ৩০৪ টাকা। এর পাশাপাশি ২.৮৬ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে জমা রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কে। এছাড়া অস্থাবর সম্পত্তির তালিকায় ৯.১২ লাখ টাকা একটি বিনিয়োগ রয়েছে তাঁর। এর পাশাপাশি ৪ টি সোনার আংটি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। যার বাজার মূল্য ২.৬৮ লাখ টাকা।

এছাড়াও হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতাও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেছেন তিনি। এর পর ১৯৮৩ সালে কলা বিভাগে স্নাতকোত্তর পাশ করেন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক মামলাও নেই।

Previous articleবাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি! মাসের শেষেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস আলিপুরের
Next articleরক্তাক্ত লন্ডনের রাস্তা, প্রকাশ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৃদ্ধাকে কুপিয়ে খুন!