বিজেপি সাংসদ হিসেবে এলাকার উন্নয়ন করা তো দূরস্ত উল্টে দিল্লিতে বাংলার বকেয়া আটকানোর বিষয়ে তদ্বির করেছেন। বিজেপির জার্সি গায়ে দিয়ে এলাকার উন্নয়ন আটকেছেন সৌমিত্র খান। এবার নির্বাচনে তাঁকে একটিও ভোট নয়। বৃহস্পতিবার, দলীয় প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের সমর্থনে জনসভা থেকে বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

অভিষেক বলেন, সৌমিত্র যতদিন তৃণমূলে ছিল, বিজেপি ১০০ দিনের টাকা, রাস্তার টাকা আটকাতে পারেননি। কেন্দ্রীয় সরকার গরিব মানুষের উন্নয়নের টাকা আটকাতে পারেনি। কিন্তু যেই সে বিজেপির জার্সি পরেছেন আর বিষ্ণুপুরে বিজেপির হয়ে জিতেছেন, সঙ্গে সঙ্গে আবাসের টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা সব আটকে যাচ্ছে। যে বিজেপি ভোটে জেতার পর যাঁদের ভোট নিয়েছে, তাঁদেরই প্রাপ্য আটকেছে, সেই বিজেপিকে আর ভোট নয়।
এদিনের সভায় ভিড় উপচে পড়ে। বিপুল জনসমাগম দেখে আপ্লুত অভিষেক নিজের ফেসবুকে বড়জোড়ার সভা নিয়ে লেখেন, “রুখে দেন বর্গীগুলোর জুলুমবাজি, মগের মুলুক/আমাদের ভাবনাগুলো সহিষ্ণুতার হাওয়ায় দুলুক।” তাঁর মতে, বিষ্ণুপুরের সাংস্কৃতিক-ঐতিহ্যবাহী মাটিতে বিজেপির মতো বাংলা বিরোধীর জায়গা হতে পারে না। যে বিজেপি ক্ষমতায় আসা ইস্তক, দেশের মানুষের জীবন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে, সেই বিজেপি আবার যদি জয়ী হয় তবে মানুষের প্রত্যেকটি মুহূর্ত দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

এদিন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের সমর্থনে বড়জোড়ার জনসভা থেকে দলবদলু বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকে বিঁধে অভিষেক বলেন, পায়ের নখ থেকে মাথার চুল, বিজেপির পুরোটাই মিথ্যা। সৌমিত্র খাঁ খণ্ডকোষে গিয়ে বলছেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে নাকি তিন হাজার টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেবেন! বিজেপি তো ত্রিপুরা, অসম, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, অরুণাচল প্রদেশ, গোয়া, বিহারে ক্ষমতায় আছে। এর মধ্যে বিজেপি যদি একটাও রাজ্যের প্রত্যেক মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিতে পারে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি ছেড়ে দেবে। পরিবারের একজনকে নয়, পরিবারের চারজন মহিলা থাকলে চারজনকেই আমাদের সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছে। আর মোদিজি কী দিয়েছেন? জুমলা! অশ্বডিম্ব!

কেন্দ্রীয় সরকারের স্বৈরাচারী নীতিকে ধুইয়ে দিয়ে অভিষেকের আরও বক্তব্য, বিজেপি তফসিলি মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করে তফসিলিদের জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাটাকেই তুলে দিতে চাইছে বিজেপি। যারা তফসিলিদের ধারক-বাহক হিসেবে দাবি করে, সেই বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোই তফসিলি মানুষদের উপর অত্যাচারে একনম্বরে রয়েছে।

আরও পড়ুন- বোল্টের হাতে উদ্বোধন টি-২০ বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের স্টেডিয়াম
