২০ বছর পরে বাড়িতে থেকে ভোট শতায়ু বৃদ্ধার!

২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে শেষ বার তিনি ভোট দিয়েছিলেন

১০১ বছরে পা দিয়ে তিনি যে বাড়িতে বসেই ভোট দিতে পারবেন, ভাবতে পারেননি চুঁচুড়ার কপিডাঙার বাসিন্দা প্রিয়বালা কুণ্ডু। বৃহস্পতিবার ঠিক সেটাই হল।

এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বাড়ি থেকে ভোট দানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়ঃসীমা ৮৫ করা হয়েছে। তবে, গত বার বিধানসভা নির্বাচনে আবেদন করতে দেরি হওয়ায় ভোট দিতে পারেননি প্রিয়বালা। উল্লেখ্য, বাড়িতে ভোটদানে ইচ্ছুকদের ১২ডি ফর্ম পূরণ করে সম্মতি জানাতে হয় নির্বাচন কমিশনে। প্রশাসন এই সুবিধা দিতে প্রস্তুতি চালাচ্ছিল কিছু দিন ধরে। সম্মতি দেন বৃদ্ধা।
তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন দু’জন পোলিং অফিসার, বিএলও, পুলিশকর্মী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ক্যামেরার নজরদারিতে।
২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে শেষ বার তিনি ভোট দিয়েছিলেন।তার পর অজ্ঞাত কারনে ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাদ পড়ে।ভোটার কার্ড থাকলেও তালিকায় নাম না থাকায় ভোট দিতে পারতেন না।ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অনেক চেষ্টা করেন বৃদ্ধার নাতিরা।কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।অবশেষে গত ২৫ শে জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবসের দিন বিষয়টি জানতে পারেন সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা।তিনি বৃদ্ধার বাড়ি আধিকারীকদের পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যবস্থা করেন।নতুন এপিক হাতে পান বৃদ্ধা।

ভোটার কার্ড থাকলেও তালিকায় নাম না থাকায় ভোট দিতে পারতেন না।ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অনেক চেষ্টা করেন বৃদ্ধার নাতিরা।কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।

দীর্ঘদিন পর ভোট দিতে পেরে যারপরনাই খুশি বৃদ্ধা।একশ বছর পেরিয়েছে কানে একটু কম শোনেন ভালো হাঁটাচলাও করতে পারেন না।তবে তার ইচ্ছা ছিল শেষ বয়সে একবার ভোট দেবেন।সেই ইচ্ছাপূরণ হয়েছে।
বৃদ্ধার নাতি সঞ্জয় কুন্ডু বলেন,ঠাকুমা ভোট দিতে পারতেন না।তালিকায় নাম তুলতে অনেক চেষ্টা করেছি।অবশেষে ঠাকুমা ভোট দিতে পারলেন।ঠাকুমার রেশনও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।প্রশাসন ভেবেছিল হয়ত ঠাকুমা মারা গিয়েছেন।উনি যে বে়ঁচে আছেন তা আজ ভোট দিয়ে প্রমাণ করলেন।