যেভাবেই হোক আপ (AAP) নেতা-কর্মীদের জেলে ভরতে হবে! এই উদ্দেশে লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আবহে আম আদমি পার্টিকে ঠেকাতে অপারেশন ঝাড়ু চালাচ্ছে বিজেপি (BJP)। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে (Delhi Chief Minister) গায়ের জোরে জেলে আটকে রাখতে না পারলেও আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়ালকে (Swati Malliwal) টোপ হিসাবে ব্যবহার করে আপ নেতাদের গ্রেফতার ও হেনস্থা করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। আর তারই প্রতিবাদে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে রবিবারই আপ নেতা, কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছে যান কেজরি। শনিবারই মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে আপ সুপ্রিমো জানান, রবিবার কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে বিজেপির সদর দফতরে যাব, যাকে পারবেন গ্রেফতার করবেন। পারলে সমস্ত নেতাকেই গ্রেফতারের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন আবগারি মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শনিবারই স্বাতী মালিওয়ালের অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের আপ্ত সহায়ক বিভব কুমারকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)।
কেজরিওয়ালের চ্যালেঞ্জকে গুরুত্ব দিয়েই সকাল থেকে রাজধানী শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কথা মতো এদিন বেলার দিকে বিজেপি সদর দফতরে কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে কেজরিওয়াল পৌঁছলেও পুলিশি তৎপরতায় বড়সড় কোনও অশান্তি ছড়ায়নি বলে খবর। এরপরই দলীয় দফতরে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির ভাঁওতাবাজির রাজনীতির পাশাপাশি মোদিকে ধুয়ে দেন কেজরি। তিনি সাফ বলেন, আপকে ঠেকাতে ‘অপারেশন ঝাড়ু’ চালাচ্ছে বিজেপি। উদ্দেশ্য হল যেভাবেই হোক আপ নেতাকর্মীদের জেলে ভরা। বিজেপির লক্ষ্য, আমাদের দল যাতে আরও বড় না হয়ে ওঠে, সেকারণে একের পর এক প্রতিহিংসার রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন মোদি।