নিশ্চিত পরাজয় জেনে উন্মাদের মতো আচরণ! বিজেপি নেতার ‘বাঁশপেটা’ মন্তব্যের পাল্টা তৃণমূলের

হাতে গোনা আর মাত্র কিছু সময় বাকি। আর তার আগেই বিজেপি (BJP) নেতার মন্তব্যে রীতিমতো অশান্ত হয়ে উঠল বনগাঁ (Bongaon)। সূত্রের খবর, নিজেদের পায়ের তলার মাটি হারিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছেন গেরুয়া শিবিরের নেতা, কর্মীরা। এবার সরাসরি দলীয় কর্মীদের বাঁশপেটার নিদান দিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল (Debdas Mondal)। ভোটের (Loksabha ELection) মুখেই বিজেপি নেতার এমন মন্তব্যে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, হার নিশ্চিত বুঝে পাগলের প্রলাপ শুরু বিজেপির। তবে এসব ধমকানি চমকানিতে যে লাভের লাভ কিছুই হবে না তা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে দলীয় কর্মীদের বাঁশ দিয়ে পেটানোর দাওয়াইয়ের পাশাপাশি মহিলাদেরও ঝাঁটা, খুন্তি নিয়ে বিদায় দেওয়ার আবেদন দেবদাসের। ঠিক ভোটের কয়েকঘণ্টা আগে দিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতির মন্তব্যে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। দেবদাস বলেন, যদি কোনও দলের হার্মাদ, গুন্ডাবাহিনী আপনাদের বাড়িতে আসে, বাড়িতে থাকা ঝাঁটা-খুন্তি নিয়ে বিদায় দেবেন আপনারা। পাশাপাশি বিজেপির কার্যকর্তা এবং জনসাধারণের উদ্দেশে তাঁর সাফ বার্তা মানুষকে বলব, কেউ ভোট দিতে বাধা দিলে তিন হাত লম্বা বাঁশ রেডি করে রাখবেন। ঠ্যাং মেরে ভেঙে দেবেন। মেরুদণ্ড সোজা করে ভোট দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। দেবদাসের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজনতিক মহলে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটার বা দলীয় কর্মীদের লাঠি ধরার নির্দেশ দিয়ে ভোটের পরিচালন ব্যবস্থাকেই কাঠগড়ায় তুলছেন দেবদাস।

বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, লোকসভায় পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিজেপির পায়ের তলার মাটি হারিয়ে গিয়েছে। নিশ্চিত পরাজয় জেনে উন্মাদের মতো আচরণ করছেন। শেষে কথা তো মানুষ বলবেন, এখানে বিজেপির গুন্ডামির কী আছে! আসলে, বিশ্বজিৎ দাস লক্ষাধিক ভোটে জিততে চলেছেন। তা বুঝতে পেরেই পাগলের প্রলাপ বকে যাচ্ছেন। দেবদাসের তোলা পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগও মানতে চাননি প্রসেনজিৎ।