গোটা দেশে শান্তিপূর্ণ পঞ্চম দফার ভোট, ভোটদানে শীর্ষে বাংলা

লাদাখের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণরাজ্যের স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত লাদাখে ভোটদানের হার ৬৭.১৫ শতাংশ

গোটা দেশের ৪৯ আসনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয় সোমবার। তবে মহারাষ্ট্রে ভোটদানের হার গোটা দিন খুব ধীর গতিতে হয় বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। উত্তরপ্রদেশ ও বাংলায় বিক্ষিপ্ত কয়েকটি অশান্তি চেষ্টার ঘটনা ছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও সেভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হয়নি।বিকাল ৫টা পর্যন্ত গোটা দেশে ভোট পড়ে ৫৬.৬৮ শতাংশ। ভোটদানের হারে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত লাদাখ এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত লাদাখের থেকে অনেক বেশি ভোট পড়ে বাংলায়। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া শেষ তথ্য অনুযায়ী,  দেশের ৪৯টি আসনে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৬০.০৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। রাত পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের ১৩টি আসনে ভোটদানের হার ৫৪.২৯ শতাংশ, বিহারের পাঁচটি আসনে ভোটদানের হার ৫৪.৮৫ শতাংশ। জম্মু-কাশ্মীরে ৫৬.৭৩ শতাংশ,  ঝাড়খণ্ডের ভোটদানের হার ৬৩.০৭ শতাংশ। এর পাশাপাশি লাদাখের একটি আসনে ভোটের হার ৬৯.৬২ শতাংশ,  ওড়িশায় রাত পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৭.৫৯ শতাংশ এবং উত্তরপ্রদেশের ১৪টি আসনে ৫৭.৭৯ শতাংশ ।

পার্বত্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণরাজ্যের স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত লাদাখে ভোটদানের হার ৬৭.১৫ শতাংশ। নির্বাচনে এবার বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে লাদাখের এই স্বতঃস্ফূর্ত ভোটদান। নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পঞ্চম দফায় ভোটদানের হার বেড়েছে আরেক পার্বত্য রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত সেখানে ভোট দানের হার ৫৪.২১ শতাংশ। শ্রীনগর কেন্দ্রে যেখানে ২০১৯ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ১৯ শতাংশের কাছাকাছি, এবার সেখানে ভোটদানের হার ৩৮.৪৯ শতাংশ।

তবে হিমাচল প্রদেশের কাজায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওত। নির্বাচন চলাকালীন লাহুল স্পিতি জেলার কাজায় পরিদর্শনে যান বিজেপি প্রার্থী। সেখানে তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। মান্ডির বিজেপি প্রার্থী অবশ্য অন্যান্য সময় যেরকম মারমুখি হয়ে পড়েন, এদিন অনেক সংযতভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

তবে দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বইতে সারাদিন ভোট দানের হার ছিল কম। তার কারণ হিসাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোট প্রক্রিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরে করার অভিযোগ তোলেন। সন্ধ্যা ৬টাতেও যাঁরা ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁদের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করে নিজেদের ভোটগুলি দিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। মুম্বই শহরে সকাল ৭ট থেকেই বহু বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যায়। সারাদিন গড়িয়ে গেলেও সেই লাইনে খুব বেশি পার্থক্য হয় না। লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়া অনেক সেলিব্রিটিও ভোটদানের ধীর গতি নিয়ে অভিযোগ তোলেন।