রবিবার, ওন্দার যে মাঠে দাঁড়িয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং শাসকদলকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সোমবার সেইখানে সভা করে বিজেপিকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ২৪ ঘণ্টার নোটিশে সেই সভায় উপচে পড়ল ভিড়। মোদির সভাকে বলে বলে গোল দিল তৃণমূল সভানেত্রীর সভার ভিড়। আর সেখানে দাঁড়িয়েই দৃপ্ত কণ্ঠে একের পর এক জবাব দেন মমতা। মোদির সভার জন্য কৃষি জমি নষ্ট থেকে শুরু করে রেলপ্রকল্প- বিভিন্ন ইস্যুতে মোদি কে ধুয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।বিষ্ণুপুরের মঞ্চে মমতা (Mamata Banerjee) বললেন, “আজ আমার এখানে সভা ছিল না। আমি জবাব দেব বলে এসেছি।“ তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের (Sujata Mandol) সমর্থনে জনসভায় মমতা প্রশ্ন করেন, “প্রধানমন্ত্রী কী এলেন, কী বললেন, ভোটটা তো ওঁর। ভোটটা আমার নয়। এরপরেই তিনি বলেন, “কিন্তু যদি বাংলা এগিয়ে যায়, যদি বাংলা ভোটটা পায়, তবে মনে রাখবেন, দিল্লিতে আমাদের দর বাড়বে। আর সেই দর বাড়লে আমরা দিল্লিতে গিয়ে NRC বাতিল করাব, সিএএ বাতিল করাব। ১০০ দিনের কাজ আবার নতুন করে শুরু করব।“

নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “উনি কী করেছেন, শুধু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আমি কটা ট্রেন করেছিলাম। কত প্রকল্প করেছি!“ রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কাজের সবিস্তার হিসেবও দেন মমতা। বলেন, “উনি তো একটা কথা বলেছেন। কী একটা বন্দে ভারত। পুরনো ট্রেনকে নতুন করে রং করা। জিজ্ঞেস করুন আমার করে দেওয়া দুরন্ত এক্সপ্রেস কোথায় গেল? তার তো টিকিও পাচ্ছি না। নকল নয় তো? আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম আমি করেছিলাম, হাওড়া পুরুলিয়া রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, আরণ্যক এক্সপ্রেস, হাওড়া-রাঁচী ইন্টারসিটি ভায়া পুরুলিয়া, হাওড়া পুরী এক্সপ্রেস ভায়া পুরুলিয়া, কবিগুরু এক্সপ্রেস ভায়া পুরুলিয়া, লালমাটি এক্সপ্রেস, দৈনিক হাওড়া পুরুলিয়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, খড়্গপুর পুরুলিয়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, কলকাতা-পুরুলিয়ার মধ্যে হাওড়া বাঁকুড়া এক্সপ্রেস, তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর রেল লাইন কে করেছিল, আমি করেছিলাম। আদ্রা মেদিনীপুর লাইনের বৈদ্যুতিকরণ সব আমরা করেছি।“

সভা শুরু কথা ছিল একটু দেরিতে। কিন্তু আবহাওয়ার কারণে মমতা (Mamata Banerjee) আগেই পৌঁছে যান। কিন্তু তখনই সভা কাণায় কাণায় পূর্ণ। তৃণমূল সভানেত্রী যখন সভা করে ফিরে আসছেন, তখনও বহু ম্যাটাডর ভর্তি লোক চলেছেন সভার দিকে। বাংলার মাটিতে তৃণমূলের ভিত কতটা শক্ত, সেটা প্রমাণ হয় মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিশে এই ভিড়ে।
