বিজেপির প্রচারে ধর্মীয়-সাম্প্রদায়িক বার্তা: এতদিনে কড়া নির্দেশ কমিশনের

কংগ্রেস ও বিজেপির দুই দলের তারকা প্রচারকদের কোনও ধরনের বিভাজনমূলক বক্তব্য পেশ থেকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেয় কমিশন।

ক্ষমতায় থাকা দলের অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকে। বিজেপিকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে কড়া বার্তা নির্বাচন কমিশনের। বিরোধীদের লাগাতার অভিযোগ। তারপরেও বিজেপি নেতা, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর জাতি ও ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক আক্রমণ জারি থাকে। বিভিন্ন আদালতে দায়িত্ববোধ নিয়ে বারবার ভর্ৎসিত হয় কমিশন। অবশেষে বিজেপিকে সেই সব অভিযোগ নিয়ে কড়া বার্তা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। যদিও বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও কয়েকটি সতর্কতামূলক নির্দেশ দেওয়া হয়। বিরোধীরা কমিশনের পক্ষপাতিত্বের যে অভিযোগ তুলে এসেছে, কার্যত বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসকেও নোটিশ দিয়ে সেই বার্তাকে ‘ভুল’ প্রমাণ করার চেষ্টা করল কমিশন।

কমিশনের নির্দেশিকায় আলাদাভাবে বিজেপিকে সতর্ক করা হয় ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য পেশ থেকে বিরত থাকতে। নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি নেতারা যে ধরনের ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য রেখেছেন এবং তা নিয়ে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অবশেষে ষষ্ঠ দফা নির্বাচনে আগে তা নিয়ে পদক্ষেপ কমিশনের। কমিশন উল্লেখ করে “ভারতের সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিবেশ এক স্থায়ী সম্পদ এবং নির্বাচনে কোনও দুর্ঘটনা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়”।

সেই সঙ্গে বিজেপিকে বার্তা দেওয়া হয় ‘ক্ষমতায় থাকা দলের’ কিছু অতিরিক্ত দায়বদ্ধতা থাকে। সেই প্রসঙ্গ স্মরণ করিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকেও তাঁদের দায়িত্ব সম্পর্কে সতর্ক করা হয়। সব দলকেই সামান্য বিচ্যুতির বিষয়ে সতর্ক করে কমিশন ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের আগে। কংগ্রেস ও বিজেপির দুই দলের তারকা প্রচারকদের কোনও ধরনের বিভাজনমূলক বক্তব্য পেশ থেকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেয় কমিশন। এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা দুই দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা ও মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পাঠানো হয়।

Previous articleমানছি না-মানব না! OBC নিয়ে ‘BJP-র রায়’কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বার্তা মমতার
Next articleশ্বশুরের সঙ্গে উদ্দাম নাচ ক্যাটরিনার! সমাজমাধ্যমে ফের ভাইরাল ‘অন্তঃসত্ত্বা’ নায়িকা