স্বাতী মালিওয়াল (Swati Malliwal) ‘নিগ্রহকাণ্ডে’ শুধুমাত্র অরবিন্দ কেজরিওয়ালই (Aravind Kejriwal) নয়, এবার তাঁর বাবা মাকেও চূড়ান্ত হেনস্থার অভিযোগ দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার স্বাতীকাণ্ডে কেজরীর বাবা-মায়ের বয়ান রেকর্ড করার কথা ছিল দিল্লি পুলিশের। কিন্তু দিল্লি পুলিশের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না।
![](https://bbs.s3.ap-south-1.amazonaws.com/wp-content/uploads/2024/05/14142907/IMG-20240514-WA0048.jpg)
![](https://bbs.s3.ap-south-1.amazonaws.com/wp-content/uploads/2024/05/08184856/WhatsApp-Image-2024-05-08-at-18.47.58.jpeg)
বুধবারই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, আপের রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল নিগ্রহকাণ্ডে কেজরির বাবা-মায়ের বয়ান রেকর্ড করা হবে বৃহস্পতিবার। তারপরেই ক্ষুব্ধ কেজরিওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আগামিকাল দিল্লি পুলিশ বাড়িতে এসে আমার বৃদ্ধ এবং অসুস্থ বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তবে বৃহস্পতিবার সকালে কেজরীর বাড়িতে যান আপের প্রথম সারির নেতারা। তারপরেই দলের তরফে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাবা-মাকে নিগ্রহের অভিযোগ তোলা হয়। স্বাতীর অভিযোগ, গত ১৩ মে কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ই তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেন কেজরীর ব্যক্তিগত সচিব বিভব কুমার। আপ সাংসদের অভিযোগ, বিভব তাঁকে ৭-৮টি চড় এবং পেটে লাথি মারে। এরপরই ১৬ মে দিল্লি পুলিশের কাছে বৈভবের এফআইআর দায়ের করেন স্বাতী। এরপর ১৭ মে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারার অধীনে স্বাতী নিজের বয়ান নথিভুক্ত করেন। স্বাতীর অভিযোগ ও এইমসের মেডিক্যাল রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৮ মে পুলিশ বিভবকে গ্রেফতার করে।
দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, স্বাতী নিগ্রহকাণ্ডের সময় কেজরিওয়ালের বাসভবনে তাঁর বাবা, মা উপস্থিত ছিলেন। তাই তদন্তের স্বার্থেই তাঁদেরও বয়ান নথিভুক্ত করা প্রয়োজন। আর সেকারণেই এদিন তোড়জোড় করলেও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পোস্টের পর সেই প্রক্রিয়া আপাতত পিছিয়ে গেল বলেই খবর।
![](https://bbs.s3.ap-south-1.amazonaws.com/wp-content/uploads/2024/03/03195932/WhatsApp-Image-2024-03-03-at-19.52.38.jpeg)