ভোটের আগে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম, “মূলচক্রী” শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি দেবাংশুর

রাত পোহালেই রাজ্যে ষষ্ঠ দফায় নির্বাচন। এই পর্বে অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক আসনটি। এবার এখানে বিজেপি প্রার্থী স্বেচ্ছাবসর নেওয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এখানে নামেই প্রার্থী। তৃণমূলের দেবাংশুর সঙ্গে মূল লড়াইটা আসলে দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

এদিকে ভোটের দু’দিন আগে নন্দীগ্রামে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন বিজেপির এক মহিলা কর্মী। যা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে নন্দীগ্রামে। থমথমে নন্দীগ্রামে বিজেপির বিরুদ্ধে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার অভিযোগ তেছে তৃণমূল। শুভেন্দু বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগও উঠছে।

আর নন্দীগ্রামের ঘটনার জন্য সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করেছেন খোদ তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু। বিজেপি এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তৃণমূল কর্মীরা গত তিন বছর ধরে মার খেয়েছে। এলাকায় সন্ত্রাস করে তমলুক লোকসভা আসন বিজেপি জিততে চায়। ভোটের আগে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।

ভোটের আগে উদ্বিগ্ন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। প্রয়োজনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতার করার দাবি তুলেছেন। শুভেন্দু আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করুক পুলিশ, এমনটাই দাবি দেবাংশুর। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা যথেষ্ট ভয়ে রয়েছেন। তাদের বাড়ি, দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। বিজেপি যথেষ্ট সন্ত্রাস চালাচ্ছে এলাকায়।

নিজের দলের লোককে বলি চড়িয়ে তারপর গোটা নন্দীগ্রাম এলাকা জুড়ে সন্ত্রাস চালানো। এটাই কি শুভেন্দু অধিকারীর শেষ কয়েক দিনের খেলা? প্রশ্ন তুললেন দেবাংশু। মাইকে প্রচার করা হচ্ছে, ভোট দিতে যাবেন না। গেলে চামড়া গুটিয়ে নেওয়া হবে। মাইকিংয়ের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। দাবি তৃণমূল প্রার্থীর।

এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড জমা করতে বলা হচ্ছে। রবিবার, সোমবার সেই সব ফেরত পাওয়া যাবে। এমন মারাত্মক দাবি করলেন দেবাংশু। তৃণমূল প্রার্থীর কথায়, ” টুকলি করে পাশ করা যায়। কিন্তু টুকলি করে প্রথম হওয়া যায় না। নির্বাচন কমিশনারকে সব তথ্যই দেওয়া হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে। বিজেপি তমলুক আসনটি সন্ত্রাস করে জিততে চায়। ২০২১ সালে শুভেন্দু অধিকারী লোডশেডিং করে নন্দীগ্রাম থেকে জিতেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর পায়ের তলার মাটি এতটাই দুর্বল। লোডশেডিং বা সন্ত্রাস না করলে জেতা যাবে না।”

আরও পড়ুন- বিজেপির বিজ্ঞাপন বিতর্ক: এবার মামলা সুপ্রিম কোর্টে

 

Previous articleবিজেপির বিজ্ঞাপন বিতর্ক: এবার মামলা সুপ্রিম কোর্টে
Next articleনন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের