সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনের পরই আত্মসমর্পণের ঘোষণা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রবিবার তাঁকে তিহার জেলে (Tihar jail) আত্মসমর্পণ (surrender) করতে হবে। শুক্রবার কেজরি জানালেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই তিনি আত্মসমর্পণ করবেন। তাঁর এই জেল যাত্রাকে দেশের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাঁর আন্দোলন বলেই দাবি করেছেন কেজরিওয়াল। আর এই আন্দোলন করে তিনি ‘গর্বিত’ বলেও দাবি করেছেন।

নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য ২১ দিনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার জন্য সর্বোচ্চ আদালতকে (Supreme Court) ধন্যবাদ জানান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এবার জেলে যাওয়ার পরে আদৌ কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকার তাঁর সঙ্গে কেমন ব্যবহার করবেন। শুক্রবার ভিডিও বার্তায় আত্মসমর্পণের বার্তা দিয়ে কেজরি প্রকাশ করেন কীভাবে অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে দ্বিচারিতা করা হয়েছিল। জামিনের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করার যে আবেদন তিনি জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে তার কারণও ভিডিও বার্তায় তুলে ধরেন।


সুপ্রিম কোর্ট জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর মামলা না শোনায় রবিবারই তিহার জেলে ফিরতে হবে কেজরিকে। বেলা ৩টে নাগাদ আত্মসমর্পণ করার কথাও তিনি জানান এদিন। তবে ইডি-র গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবারই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে জামিনের মামলা করেছেন কেজরি।
