সাত দফার ম্যারাথন লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে শনিবার! আর রাত পোহালেই লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা। টানটান উত্তেজনার মধ্যে যেমন প্রহর গুনছেন রাজনৈতিক দলগুলির নেতা, নেত্রী, কর্মী, সমর্থকরা, ঠিক একইভাবে গোটা দেশ তাকিয়ে আসছে নির্বাচনের ফলাফলের দিক। নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশের সঙ্গে বাংলার ৪২টি কেন্দ্রেও ব্যাপক নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। কড়া গাইড লাইন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের ভোট গণনার জন্য মোট ৫৫টি গণনা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। কাউন্টিং হলের সংখ্যা ৪১৮টি। কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের জন্য সবথেকে বেশি ৭টি গণনা কেন্দ্র রয়েছে। ডায়মন্ড হারবারে ৪টি, দার্জিলিঙে ৩টি, রায়গঞ্জে ২টি এবং অন্যান্য জায়গায় একটি করে গণনা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবারের মতো এবারও গণনা কেন্দ্রের বাইরে ২০০ মিটার পর্যন্ত জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। রাজ্যের ৫৫ টি গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। একইসঙ্গে ২ হাজার ৫২৫ জন রাজ্য পুলিশের কর্মীকেও মোতায়েন করা হচ্ছে।

পোস্টাল ব্যালট গণনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একবারই ওটিপি দেখার জন্য মোবাইল ব্যবহার করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার। এছাড়া গণনা কেন্দ্রের মধ্যে আর কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে। ৩ লক্ষেরও বেশি পোস্টাল ব্যালট জমা পড়েছে।

গণনা কেন্দ্রে প্রতি বিধানসভা পিছু একজন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন অর্থাৎ ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ২৯৪ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন। ইভিএম গণনার জন্য ৪১৮ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার এআরও থাকছেন। গণনা কেন্দ্রে থাকছেন মাইক্রো অবজার্ভার-সহ ২৫ হাজার গণনা কর্মী।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কোচবিহার লোকসভার অন্তর্গত শীতলকুচি ৩১০ নম্বর বুথ ও দিনহাটা ৩১৮ নম্বর বুথে সবথেকে বেশি ২৩ রাউন্ড গণনা হবে। দার্জিলিং লোকসভার চোপড়ার ২৫১ নম্বর বুথে গণনা হবে সবথেকে কম ৯ রাউন্ড।

প্রার্থী অথবা তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট নিজস্ব লোকসভা কেন্দ্রের সব টেবিলে যেতে পারবেন। গণনা এজেন্টরা নির্দিষ্ট নম্বরের টেবিল ছাড়া অন্য টেবিলে যেতে পারবেন না।
