ফাঁকা বাড়ি। সেই সুযোগে সদর দরজার তালা ভেঙে ঢুকল চোর। এত বড় সুবর্ণ সুযোগ কী কোনও দুষ্কৃতী হাত ছাড়া করে! কিন্তু সকালে শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশীদের তৎপরতায় ঘরে ঘুমন্ত চোরকে ধরে নিয়ে গেল পুলিশ। কিন্তু ফাঁকা বাড়ির সুযোগ কেন কাজে লাগাতে পারল না চোর? সৌজন্যে বাড়ির এসি।

উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌয়ের ইন্দিরানগর এলাকায় বাড়ি ডাঃ সুনীল পাণ্ডের। তবে কর্মসূত্রে তিনি বারাণসীতে থাকেন। সেই সুযোগেই বাড়িতে শনিবার রাতে ঢোকে এক চোর। সকালে প্রতিবেশীরা সদর দরজার তালা ভাঙা দেখে খবর দেন ডাঃ পাণ্ডেকে। তিনি বাইরে থাকায় খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ সকালে ঘরে ঢুকে দেখে ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে রয়েছে সেই চোর। মাথার তলায় কুশান। ঘরে চলছে এসি। হাতে ধরা মোবাইল ফোন। তার এতই গভীর ঘুম যে পুলিশকে অনেকক্ষণ ডাকাডাকিও করতে হয়।

সম্প্রতি গোটা উত্তর ভারত তাপপ্রবাহে পুড়ছে। সেই পরিস্থিতিতে বাতানুকূল যন্ত্রের সুবিধা সবাইকেই স্বস্তি দেবে। লক্ষ্ণৌ পুলিশের দাবি, চোরটি মদ্যপ ছিল। ফাঁকা বাড়িতে এসি-র সুবিধা দেখে সে এসি চালায়। গরম থেকে বাঁচতে এসি চালানো ও মদের প্রভাবে সে গভীর ঘুমে চলে যায়। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
