কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রাজ্যে আজ লোকসভা নির্বাচনের গণনা

লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election result) সপ্তম দফা শেষ হয়েছে গত ১ জুন। আজ দেশের মানুষের রায় প্রকাশ্যে আসার পালা। এরা যে ৪২ টি আসনে প্রার্থীদের ভাগ্য পরীক্ষা হয়ে গেছে। এখন শুধু ফলাফলের অপেক্ষা। এদিন সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বাংলায় শুরু লোকসভা নির্বাচনের গণনা (Loksabha Election counting)। প্রতিটি কেন্দ্রে কড়া ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়েছে। একেবারে সামনের বেষ্টনীতে রয়েছে স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসনের একাংশ। সেখানে কোনও গাড়ি রাখা যাবে না। ওই বেষ্টনী পেরিয়ে ১০০ মিটার দূরে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে আর সেখানেই রয়েছে সশস্ত্র পুলিশ। এরপর থেকে দ্বিতীয় বেষ্টনী শুরু হচ্ছে যেখানে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের থাকার বসার জায়গা রয়েছে। সেই বেষ্টনীর কাছে নির্দিষ্ট একটি জায়গা থাকবে মোবাইল রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে গণনাকেন্দ্রের নির্দিষ্ট বসার জায়গায় একেবারে সামনের সারিতে জাতীয় রাজনৈতিক দলের এজেন্টরা বসছেন। পরের সারিতে আঞ্চলিক দলগুলির এজেন্টরা এবং একেবারে পিছনের সারিতে নির্দল প্রার্থীদের এজেন্টরা বসেছেন। কাউন্টিং সেন্টারের পাহারায় স্থানীয় পুলিশ নয় বরং কেন্দ্রীয় বাহিনী (CRPF) মোতায়েন করা হয়েছে।

দেশের মসনদে কে বসবে তা নির্ধারণের পাশাপাশি বাংলার ৪২ আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোন দলের কাছে যাবে তার উত্তর মিলবে আজ। সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে গণনা। রাজ্যের মোট ৫৫ টি গণনা কেন্দ্রে ৪১৮ টি কাউন্টিং হল করা হয়েছে। কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের জন্য সবথেকে বেশি ৭টি গণনা কেন্দ্র রয়েছে। ডায়মন্ড হারবারে ৪টি, দার্জিলিঙে ৩টি, রায়গঞ্জে ২টি এবং অন্যান্য জায়গায় একটি করে গণনা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। গণনা কেন্দ্রের মধ্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে। এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একবারই ওটিপি দেখার জন্য মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কোচবিহার লোকসভার অন্তর্গত শীতলকুচি ৩১০ নম্বর বুথ ও দিনহাটা ৩১৮ নম্বর বুথে সবথেকে বেশি ২৩ রাউন্ড গণনা হবে। দার্জিলিং লোকসভার চোপড়ার ২৫১ নম্বর বুথে গণনা হবে সবথেকে কম ৯ রাউন্ড।

প্রতিবারের মতো এবারও গণনা কেন্দ্রের বাইরে ২০০ মিটার পর্যন্ত জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং২ হাজার ৫২৫ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী। গণনা কেন্দ্রে প্রতি বিধানসভা পিছু একজন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন অর্থাৎ ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ২৯৪ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন। ইভিএম গণনার জন্য ৪১৮ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার এআরও থাকছেন। গণনা কেন্দ্রে থাকছেন মাইক্রো অবজার্ভার-সহ ২৫ হাজার গণনা কর্মী। সোমবার আদালত জানিয়ে দিয়েছিল যে শুধুমাত্র পেন, পেনসিল এবং খাতা নিয়ে গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে। মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গণনা কেন্দ্রের ভিতরে পৌঁছতে হবে। গণনাকেন্দ্র থেকে এক বার বেরিয়ে গেলে আর প্রবেশ করা যাবে না। এমনকি, প্রার্থীদের কাউন্টিং এজেন্টদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। গণনার মাঝপথে কাউন্টিং এজেন্ট পরিবর্তন করা যাবে না। গণনাকেন্দ্রে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে।


 

Previous articleবিনিয়োগ করলেই মোটা অঙ্কের মুনাফা! অনলাইনে নয়া প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস
Next articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ