উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করার নির্দেশ মুখ্যসচিবের

বাকি সব থেমে থাকা কাজ চালু করে ফেলতে হবে সঙ্গে সঙ্গেই।

প্রায় তিনমাস ধরে চলা নির্বাচন পর্বে পেশ স্তব্ধ হয়ে রয়েছে রাজ্যের যাবতীয় উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অগ্রগতি। তাই ভোট মিটতেই যাতে পুরোদমে এইসব প্রকল্পে গতি সঞ্চার করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার অষ্টাদশ লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকেই উঠে যাচ্ছে নির্বাচনী আচরণবিধি। তারপরেই যাতে জোর কদমে সরকারি কাজকর্ম শুরু করা যায় সেজন্য প্রশাসনের তৃণমূল স্তর পর্যন্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। শুরু করতে বলা হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকের প্রস্তুতিও।
সোমবারই সব দফতরের সচিবকে নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা। সূত্রের খবর, স্বল্প সময়ের ওই বৈঠকে বলে দেওয়া হয়েছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাশ করানোর মতো বিষয়গুলি (ক্যাবিনেট মেমো) প্রস্তুত করতে হবে দ্রুত। বাকি সব থেমে থাকা কাজ চালু করে ফেলতে হবে সঙ্গে সঙ্গেই। প্রশাসনিক বিশ্লেষকেরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, মাসে দু’টি করে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়ে থাকে। আদর্শ আচরণবিধি থাকায় তা এতদিন হয়নি।

ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হওয়া কাজের গুণমান যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।পূর্ত সচিব অন্তরা আচার্যের নেতৃত্বাধীন পর্যবেক্ষক দল বিভাগের শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে জেলায় জেলায় পরিদর্শন করছে। গত ১৬ মার্চ লোকসভা ভোট ঘোষণা হয়েছিল। সে দিন থেকেই কার্যত আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যায় রাজ্যে। রীতি এবং নিয়ম অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যে নতুন কোনও সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা (আপতকালীন পরিস্থিতি ছাড়া) করা যায় না। ওয়ার্ক অর্ডার বা কাজের বরাত হয়ে থাকা কাজগুলিই শুধু চলতে পারে। তা ছাড়া নতুন কাজও চালু করা যায় না। আজ, মঙ্গলবার ভোটের গণনা। ফলে গত ৮০ দিন ধরে সে ভাবে কাজের গতি ছিল না রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। তা-ই এ দিন অবিলম্বে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।





Previous articleদলবদলু নেতার নির্দেশে কেন্দ্র বদল, কাঠিবাজি করে হারানো হয়েছে! দিলীপের নিশানায় কে?
Next articleভোটে ভরাডুবি! এবার দিলীপকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা চায় বিজেপির একাংশ