রামমন্দিরে ‘খুশি’ অযোধ্যাবাসী মুখ ফেরালো, বিজেপির হারে দায়ী মন্দিরই!

সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশের দাবি, মন্দির তৈরির সময় যাদের জমি নেওয়া হয়েছিল, তাঁদেরও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়নি বিজেপি

গোটা বিশ্বকে জানান দিয়ে রামমন্দির উদ্বোধন করেছিল বিজেপি। সেই অযোধ্যা যে বিজেপিকে ফিরিয়ে দেবে এমনটা হয়তো বিশ্বের তাবড় রাজনীতিকরা ধারণা করতে পারেননি। কার্যত উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ কেন্দ্রে বিজেপির পরাজয় নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করেছে বিজেপি। যেখানে সব থেকে বড় ইস্যু হিসাবে উঠে এসেছে উন্নয়নে ঘাটতি। দীর্ঘদিন বিজেপির সাংসদ থাকা সত্ত্বেও যে বঞ্চনা অযোধ্যা ভোগ করেছে, তারই উত্তর তাঁরা ভোটের মধ্যে দিয়ে দিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

ফৈজাবাদ কেন্দ্রের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ লাল্লু সিংকে প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে পরাজিত করেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী অবোধেশ প্রসাদ। এই কেন্দ্রেরই অন্তর্গত অযোধ্যা। স্থানীয় বাসিন্দারা বিজেপির সাংসদকে আরও একবার বেছে না নেওয়ার পিছনে যুক্তি দিয়েছেন, সেখানে যাবতীয় উন্নয়ন রামমন্দিরকে ঘিরে হয়েছে। প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মতো সাধারণ মানুষ উন্নয়নের কোনও ভাগ পায়নি। এমনকি সাংসদ তহবিল থেকে আদৌ অযোধ্যার মানুষের উন্নয়নের তহবিলে কিছু পৌঁছেছে কিনা তা নিয়েও সংশয়ে বাসিন্দারা।

ডবল ইঞ্জিন সরকারে সব সংগঠনই পরিচালনা করে বিজেপি। সেখানে অযোধ্যা ব্যবসায়ী সমিতির কর্ণধার রাকেশ যাদবের দাবি, “আমরা খুব খুশি যে রামমন্দির হয়েছে। কিন্তু বিজেপিকে নিয়ে আমরা হতাশ। মানুষ সব সময়ই ধর্ম আর জাতপাতের রাজনীতিতে মগ্ন থাকতে পারে না। তারা উন্নয়নও চায়, তাই হয়তো ভোটের ফলাফলে সবাই অবাক হচ্ছে।”

ফৈজাবাদের সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী অবোধেশ প্রসাদকে পাশে নিয়ে দলের প্রধান অখিলেশ যাদব একটি নির্বাচনী প্রচার থেকে দাবি করেন তিনিই এই কেন্দ্রের সাংসদ হতে চলেছেন। সেই ভিডিও বর্ষীয়ান নেতা অবোধেশের জয়ের পরে ভাইরাল হয়ে যায়। অখিলেশ যাদব দাবি করেন, সমাজবাদী পার্টিই প্রকৃত রামভক্ত। তাই মানুষ তাঁদের বেছে নিয়েছে। বিজেপি রামমন্দির তৈরি করে যে ধর্মীয় ফায়দা অযোধ্যাবাসীর থেকে তোলার চেষ্টা করেছেন, মানুষ তার জবাব ভোটে দিয়েছে। অখিলেশের দাবি, মন্দির তৈরির সময় যাদের জমি নেওয়া হয়েছিল, তাঁদেরও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়নি বিজেপি। অনেকের নামও বাদ পড়েছে জমিদাতাদের তালিকা থেকে।

সেই সঙ্গে ডবল ইঞ্জিন উত্তর প্রদেশ জুড়ে দলিত, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি যেভাবে লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে এসেছে তারও একটা ছাপ ফৈজাবাদ কেন্দ্রের ফলে প্রতিফলিত হয়েছে বলে দাবি রাজনীতিক বিশ্লেষকদের।

Previous articleশনিবার থেকে রাজ্য জুড়ে চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা !
Next articleপুজোর আগেই ফের ভোট! এবার রাজ্যের ৯ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন