বিজেপির নেতারা প্রচারের টাকা তছরূপ করেছে! হারের পর বিস্ফোরক কৃষ্ণনগরের রানিমা

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর থেকে রাজবা়ড়ির বধূ অমৃতা রায়কে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। এই কৃষ্ণনগর রাজ্যের একমাত্র আসন, যেখানে দুটি সভা করেছেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। একটি ভোট ঘোষণার আগে, একটি পরে। শুধু তাই নয়, রাজমাতার পালে হাওয়া দিয়ে মোদি নিজে অমৃতা রায়কে ফোন করেছিলেন। সেই কথোপকথন ভাইরাল করা হয় বিজেপির তরফে, যাতে ভোট বাক্সে তার প্রভাব পড়ে। মোটকথা মহুয়া মৈত্রকে হারানোর জন্য বিজেপির যা যা করার ছিল সবই করেছে। কিন্তু মেলেনি কাঙ্খিত জয়। বরং, ড্যাং ড্যাং করে কৃষ্ণনগর থেকে আরও একবার দিল্লি যাবেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র।

এদিকে ভোটে হারের পরেই পরাজয়ের দায় কার্যত দলীয় নেতৃত্বের একাংশের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন রাজমাতা অমৃতা রায়। তাঁর বক্তব্য, অন্যের কথা শুনে ‘ভুল হয়েছে’! নিজের পরিকল্পনা মতো চললে ভোটে আরও ভাল ফল করতেন। দলের নেতাদের বিরুদ্ধে যে ভাবে সরব হয়েছেন অমৃতা, তাতে প্রশ্ন উঠেছে, এর পরেও কি তিনি রাজনীতিতে থাকবেন? আজ, শুক্রবার সকালে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘‘এরপরেও যদি রাজনীতিতে থাকি, তাহলে নিজের বুদ্ধিতেই চলব! অন্যের কথায় নয়!’’মহুয়া মৈত্রের কাছে ৫৭ হাজারের বেশি ভোটে হেরে অমৃতা বলেছেন, ‘‘এই পরাজয় মানতে পারছি না। ওরা যেমন বলেছে, তেমনই করেছি। আমি তো রাজনীতিতে নতুন। সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রচার করেছি। যেখানে বলেছে, সেখানে গিয়েছি। অন্যের বুদ্ধিতে চলেছি। নিজের বুদ্ধিতে চললে এর চেয়ে ভাল ফল করতাম।’’

এক ধাপ এগিয়ে অমৃতার ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, রাজবধূকে ‘ডুবিয়েছেন’ তাঁর ভোটপ্রচারের দায়িত্বে থাকা নেতারা। তাঁরা ‘দুর্নীতি’ করেছেন। প্রচারের জন্য আসা অর্থ সরিয়েছেন। অমৃতার এক ছায়াসঙ্গী শুক্রবার বলেন, ‘‘রানিমার কথায় কেউ কান দেননি। রানিমা চোখের সামনে দেখেছেন দুর্নীতি হচ্ছে! উনি সে কথা বলেওছেন। কিন্তু ওঁর কথা শোনা হয়নি। উল্টে এখানকার নেতৃত্ব যা বলেছেন, তা-ই করতে হয়েছে। রানিমা যদি নিজের বুদ্ধিতে চলতেন, তা হলে হারতেন না। মোদিজি -শাহজির সভায় চুরি হয়েছে। বার বার হিসাব চাওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ হিসাব দেয়নি। সই করিয়ে চেকবুক নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পাশবইও রানিমার কাছে ছিল না।’’

 

Previous articleমানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর জামিন মঞ্জুর বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে
Next article‘গ্যারান্টি’র বচন ভুলে জোটের কাছে হাতজোড়! ‘সর্বমত’ বার্তায় অচেনা মোদি