মোদি বাংলার বিজেপি সাংসদদের পূর্ণমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যই মনে করেন না, কটাক্ষ কুণালের

কুণালের কটাক্ষ, বিজেপিতে যে ‘কামিনী-কাঞ্চন’-এর দাপট তা আবারও জলের মতো স্পষ্ট

বিজেপি নিজের দলের সাংসদদের ওপরই ভরসা রাখতে পারে না। বাংলার কোনও নেতার ওপর আস্থা রাখতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। না হলে এবারেও মোদির মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে কোনও পূর্ণমন্ত্রী নেই। নরেন্দ্র মোদি বঙ্গ বিজেপির কোনও নেতাকে ভরসা করতে পারেন না, তাই পূর্ণমন্ত্রী নেই। আমরা এর আগে যা বারবার বলেছি, এবারও সেটাই প্রমাণ করে দিলেন মোদি। সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাফ জানালেন কুণাল ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, মানুষ কেন বিজেপিকে ভরসা করবে? একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির পর ‘কামিনী-কাঞ্চন’ তোপ দেগেছিলেন তথাগত রায়। তিন বছর পর চব্বিশের লোকসভা ভোটে বঙ্গে আসন কমায় আবারও উঠছে সেই একই অভিযোগ। এবার তোপ দেগেছেন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির ভাই শান্তনু সিনহা। কুণালের কটাক্ষ, বিজেপিতে যে ‘কামিনী-কাঞ্চন’-এর দাপট তা আবারও জলের মতো স্পষ্ট।
তিনি বলেন, আসলে বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ। আদি বিজেপি, নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব তো আছেই। আবার দিলীপ বিজেপি, সুকান্ত বিজেপি এমন নানান গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।মানুষ কেন দেবে বিজেপিকে সম্মান। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজেই ভরসা রাখতে পারেন না বাংলার বিজেপি সাংসদদের প্রতি। অনাস্থা দেখাচ্ছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এরা পূর্ণমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নয় বলে মনে করছেন। মানুষ কেন বিজেপিকে সম্মান দিতে যাবে। যতগুলো উপনির্বাচন ততগুলোই জয় পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। আবার ভরাডুবি হতে চলেছে বিজেপি, সিপিএম-কংগ্রেসের। কৃষ্ণনগরের প্রার্থী তো বলেছেন যে টাকার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। আর্থিক অভিযোগ আনছেন প্রার্থীরা। আবার টুইটে কামিনী কাঞ্চনের অভিযোগ আসছে। তাহলে নির্বাচনের জন্য বিজেপি বাংলায় কত কোটি টাকা ঢেলেছে? প্রশ্ন তুললেন কুণাল। এগুলোর পুরোদস্তুর তদন্ত দরকার। কারণ, অভিযোগটা বিজেপির মধ্যে থেকেই এসেছে। কুণালের কটাক্ষ, বিজেপিতে পদ পাওয়ার জন্য কামিনী কাঞ্চন ভেট দিতে হয়।
লোকসভা ভোটে গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও প্রত্যাশিত ফল না মেলায় এবার রাজ্য সভাপতি বদলের পথে হাঁটতে চলেছে বিজেপি। যদিও তা নিয়ে মাথাব্যাথা নেই তৃণমূলের।