এক দলবদলুকে “ফ্রি হ্যান্ড” দিয়ে একুশের বিধানসভা ভোটের পর পর চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে বিজেপি। প্রার্থী চয়ন থেকে নির্বাচনী প্রচার, সবটাই নিজের খেয়াল খুশি মতো করে গিয়েছেন স্বৈরাচারী মনোভাবাপন্ন ওই দলবদলু নেতা। পুরোনো ও যোগ্য লোকেদের বাদ দিয়ে বঙ্গ বিজেপিকে কার্যত “হাইজ্যাক” করেছেন ওই নেতা। এবং প্রতিটি নির্বাচনেই বিপর্যয়ের পড়তে হয়েছে বঙ্গ বিজেপিকে। ওই দলবদলুর জন্যই দলের মধ্যে আদি-নব্য দ্বন্দ্বে বেড়েছে গোষ্ঠীকোন্দল।

আর তার জেরেই এবার বিজেপি ও সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তোপের মুখে পড়লেন রাজ্যের দলবদলু ওই শীর্ষনেতা। দিল্লিতে বাংলার ওই নেতাকে কার্যত কড়া ধমক হজম করতে হয়েছে। বিজেপি ও সঙ্ঘের কর্তারা তাঁকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামিদিনে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বিষয়ে কোনওভাবেই নাক গলানো যাবে না। তাঁকে শুধুমাত্র বিধানসভা ও বিজেপির পরিষদীয় দল নিয়েই থাকার কথা বলা হয়েছে। বাংলায় গতবারের তুলনায় ছ’টি লোকসভা আসন কমে যাওয়ার পরোক্ষ দায় ওই দলবদলু নেতার উপরেই চাপানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।


দিল্লির বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি জনপ্রতিনিধি তৃণমূলে নাম লেখাতে পারেন। ওই ভাঙন ঠেকিয়ে দেখান—কার্যত এরকম চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

আরও পড়ুন- মাঝ আকাশে বিমান ভ্যানিশ! নিখোঁজ মালওয়ির ভাইস প্রেসিডেন্ট

