পর পর নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়ে বামেদের আসন শূন্য। কংগ্রেসের অবস্থাও প্রায় তথৈবচ। কিন্তু তাও এখনও হাত ছাড়ছে না আলিমুদ্দিন (Alimuddin)। ১০ জুলাই রাজ্যের ৪ বিধানসভার উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই লড়বে CPIM। ফলাফল যাই হোক, এখনই জোট ভাঙতে চাইছে না বাম-কংগ্রেস (Left-Congress)।বাম সূত্রে খবর, মানিকতলা ও বাগদা উপনির্বাচনে প্রার্থী দেবে বামেরা। আর রায়গঞ্জে লড়বে কংগ্রেস। রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, যদি কংগ্রেস চায় ওই আসনটি ছেড়ে দেবে সিপিআইএম। সদ্য হওয়া লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বামেদের। কংগ্রেসের মুখরক্ষা করেছেন একমাত্র মালদহ দক্ষিণে ঈশা খান চৌধুরী। কিন্তু ২১-এর পরে ২৪-এও খুলতে পারেনি খাতা বামেরা। তবে, আসন্ন উপনির্বাচনে ‘হাত’ ধরেই হাঁটতে চাইছে বামেরা (Left-Congress)।

আরও খবর: NEET কাউন্সিলিং প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ নয়, NTA-এর জবাবদিহি তলব সুপ্রিম কোর্টের

১৪ জুন বামফ্রন্টের বৈঠক। সেখানে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। আসনের ভাগাভাগির ক্ষেত্রে লোকসভা নির্বাচনের ফলের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওযা হতে পারে। কলকাতা উত্তরে লোকসভায় প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। এবার সেই লোকসভার অধীন মানিকতলা কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারে সিপিএম। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। সেই লোকসভার অধীন বাগদায় এবার প্রার্থী দিতে চায় বামেরা। রায়গঞ্জে লড়েছিল কংগ্রেস। উপনির্বাচনেও সেখানে হাত শিবিরই প্রার্থী দিতে পারে। রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, রানাঘাট লোকসভায় প্রার্থী দিয়ে জিততে পারেননি সিপিআইএম। সুতরাং কংগ্রেস চাইলে এই আসনটি তারা ছেড়ে দিতে পারে বলে সূত্রের খবর।

২০২১-এর বিধানসভা ও এই লোকসভা ভোটে শূন্য হলেও উপনির্বাচনে খাতা খোলাই মূল চ্যালেঞ্জ বামেদের। তবে, রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন না পেলেও ভোটের শতাংশ কিছুটা হলেও বেড়েছে বামেদের। বিধানসভা ভিত্তিক জোটের ফলও তুলনামূলক ভালো। সেই কারণেই কি একা লড়াইয়ে এখনই নামতে চাইছে না বামেরা? আর এই জোটে এবারও ISF সামিল হবে কি না তাও স্পষ্ট নয়। যদিও নওশাদ সিদ্দিকি আগেই জানিয়ে ছিলেন, আত্মসম্মান বিকিয়ে কংগ্রেস ও সিপিআইএমের সঙ্গে জোট নয়। ফলে তারা এবারও জোটের বাইরে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

