সায়নীর অভিধানে নেই “বিশ্রাম”! ট্রিপল ইঞ্জিন মডেলে উন্নয়নের বার্তা

চাঁদিফাটা রোদ, তীব্র দাবদাহ, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোট প্রচারে প্রায় আড়াই মাস মাঠে ছিলেন যাদবপুরের নবনির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। ভোট পর্ব মিটতেই ফের মানুষের মধ্যে সায়নী। ঘুরছেন তাঁর লোকসভার অন্তর্গত প্রতিটি বিধানসভায়। মাঝে দিল্লিতে গিয়ে সাংসদ হিসেবে নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। সামনেই ২১ জুলাই সমাবেশ। যুব সভানেত্রী হিসেবে তৃণমূল ভবনে সামলেছেন সাংগঠনিক দায়িত্ব। তারপর আবার নেমে পড়েছেন মাঠে। মানুষের মাঝে। সায়নীর অভিধানে “বিশ্রাম” শব্দটি নেই।

এবার ভাঙড়ে। যে ভাঙড় তাঁকে প্রায় ৯০ লক্ষ ভোট লিড দিয়েছে। ভোট এলেই চর্চার কেন্দ্রে থাকে ভাঙড়। যাদবপুর লোকসভার এই বিধানসভায় তৃণমূল-আইএসএফ টানাপোড়েন নিত্য ঘটনা। সেখানেই উন্নয়নের ‘ট্রিপল ইঞ্জিন’ মডেল ঘোষণা করলেন সদ্য নির্বাচিত সাংসদ সায়নী ঘোষ। ভাঙড়ে বিজয় উৎসবের যোগ দিয়ে সদ্য নির্বাচিত সাংসদ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শওকত মোল্লা ও সায়নী ঘোষ মিলে ‘ট্রিপল ইঞ্জিন’ উন্নতি করা হবে ভাঙড়ের। শুধু তাই নয়, এই এলাকার জন্য তাঁর কী কী পরিকল্পনা রয়েছে, সে কথাও তুলে ধরেন বক্তব্যে।

ভাঙড়ের পরিকল্পনা সম্পর্কে সায়নীর বক্তব্য, সাংসদের একটি দলীয় কার্যালয় হবে এখানে। মাসে দু’বার তিনি বসবেন। সরাসরি মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনে সেগুলি প্রতিকারের চেষ্টা করা হবে। এই বিধানসভায় রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ সহ সব বিষয়ে উন্নয়ন করার দিকে নজর দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন নবনির্বাচিত সাংসদ। সাধারণ মানুষ যাতে সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন, সেজন্য তিনি একটি হেল্প লাইন নম্বরও চালু করবেন।

বিজয়গঞ্জ বাজারে সায়নীকে সাংসদ হিসাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পাল্টা তিনিও সংবর্ধিত করেন সেই সমস্ত তৃণমূল কর্মীকে যাঁরা ভোট যুদ্ধে আহত বা আক্রান্ত হয়েছিলেন। যে ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে ভাঙড় বিধানসভা তাঁর মধ্যে ৯টি পঞ্চায়েতে লিড পেয়েছে তৃণমূল। সেখানকার নেতৃত্বের হাতে মেডেল তুলে দেন সায়নী। পাশাপাশি আগমী বিধানসভা ভোটের সুরও বেঁধে দেন। ২০২৬ সালের ভোটে ভাঙড় থেকে কমপক্ষে এক লক্ষ মার্জিন দিতে হবে তৃণমূলকে। টার্গেট বেঁধে দেন সাংসদ।

Previous articleকাতারের কাছে হেরে ২০২৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ড অধরা ভারতের
Next articleঅবশেষে গরমের হাত থেকে পাকাপাকিভাবে মুক্তি, জামাইষষ্ঠীতেই হাওয়া বদলের ইঙ্গিত আলিপুরের