কমছে না গরমের দাবদাহ। কাঠফাটা গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন, হাঁসফাঁস করছে দক্ষিণবঙ্গবাসী। এর মধ্যেই স্কুল খুলে যাওয়ার পড়ুয়াদের নিয়ে চিন্তায় অভিভাবকরা। প্রবল তাপপ্রবাহের (Heatwave)জেরে এপ্রিল থেকেই রাজ্যের সরকারি এবং সরকার-পোষিত স্কুলগুলিতে ছুটি পড়ে গিয়েছিল। এরপর লোকসভা নির্বাচন পেরিয়ে ৩ জুন থেকে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া শুরু করলেও ১০ জুন (সোমবার) থেকে পড়ুয়াদের নিয়ে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। কিন্তু এখানেই সমস্যা। কারণ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এখনও তাপপ্রবাহ চলছে। ফলে ভ্যাপসা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে খুদেরা। পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে এবার স্কুলের সময়সূচী পরিবর্তনের ছাড়পত্র দিল স্কুল শিক্ষা দফতর (School Education Department)। জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলোর ক্ষেত্রেও এই একই নির্দেশ থাকছে বলে জানা গেছে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (Madhyasiksha Parsad)এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে (Primary School Education)পাঠানো অ্যাডভাইজরিতে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যে এলাকায় যে স্কুল রয়েছে সেখানকার আবহাওয়া কেমন তা বিবেচনা করে জুনের বাকি দিনগুলিতে ক্লাসের সময়সূচি পালটানো যেতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যাতে পড়াশোনা ব্যাহত না হয়। অর্থাৎ স্কুলে গরমের ছুটি বাড়ছে না বরং স্কুলের সময়সূচি পালটানোর ছাড়পত্র দিল শিক্ষা দফতর। বিষয়টিকে সাধুবাদ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। পাশাপাশি তাঁরা বলছেন, বাস্তব পরিস্থিতি অনুযায়ী ৬৫ দিনের পরিবর্তে আগের মতো স্কুলগুলিতে ৮৫টি ছুটি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। স্কুলগুলি যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী স্বাধীনভাবে সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ছুটি দিতে পারে, সেটার অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন। এতে সার্বিকভাবে পঠন-পাঠন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সহজ হবে।