বাড়ছে জঙ্গি কার্যকলাপ, জম্মু-কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর ঢিলেঢালা নজরদারির মাশুল গুনছে দেশ!

রবিবার থেকে বুধবারের মধ্যে চার বার জঙ্গিহানা জম্মু-কাশ্মীরে ( Terrorist attack in Jammu Kashmir) । কখনও তীর্থযাত্রীদের বাঁশে হামলা কখনও বা সীমান্তের গ্রামে। দেশের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে ভারতীয় সেনার (Indian Army)। প্রশ্ন উঠছে তাদের দায়িত্ববোধ নিয়ে। আবার এইসব ঘটনার জন্য গোয়েন্দা বিভাগকে দুষছেন অনেকে। মোদি জামানায় জম্মু এবং কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের রাস্তায় সেনা মোতায়েনের সংখ্যা কমার জন্যই কি জঙ্গি বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে? বাড়ছে উদ্বেগ।

প্রশ্নের মুখে দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা। রবিবার রেয়াসিতে তীর্থযাত্রীদের বাসে হামলা চালানো থেকে ডোডায় সেনাবাহিনীর অস্থায়ী অপারেটিং ঘাঁটিতে হামলায় চিন্তা বাড়ছে ভারতীয় জওয়ানদের। সূত্রের খবর সাম্বা-কাঠুয়া রুটে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ বেশ বেড়েছে। পীরপঞ্জল রেঞ্জ দিয়ে পাহাড় পেরিয়ে এসে, নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে সোজা দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ানে চলে আসছে উচ্চ প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা। খুব ছোট ছোট দলে এই অনুপ্রবেশ ঘটায় তা অনেক সময় নিরাপত্তা বাহিনীর নজর এড়িয়ে যাচ্ছে। কাশ্মীর উপত্যকায় ৩০ থেকে ৪০ জন জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে বলে খবর। কিন্তু জম্মু অঞ্চলে সেই সংখ্যা আরও বেশি। পুঞ্চে প্রায় ১২ জন, রাজৌরিতে ১০ জন, ডোডায় ১৬ জন এবং উধমপুরে ৬ জন সক্রিয় রয়েছে এই মুহূর্তে। এই এত সংখ্যায় জঙ্গি মোকাবেলা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বর্ষার আগে আরও জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা থাকছে। ইতিমধ্যেই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দিকে আঙুল উঠতে শুরু করেছে। মোদি জমানায় যেভাবে দেশের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে, তাতে আগামীতে বড় কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলেই তো বিরোধীদের।

২০২০ সালে লাদাখে চিনের সঙ্গে ভারতের যে সংঘর্ষ শুরু হয়, সেখানে বড় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। ফলে জম্মুর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে সেনা উপস্থিতি বেশ কমে গেছিল। এই ঘটনার সুযোগ নিয়েছে জঙ্গিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগের এক অফিসার বলছেন, যেভাবে প্রযুক্তি সাহায্য নিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা নিজেদেরকে আপডেট করেছে, নিজেদের মোবাইলের পরিবর্তে গ্রামবাসীদের মধ্যে মিশে গিয়ে, তাদেরই ফোনে টেলিগ্রাম বা সিগন্যালের মতো অ্যাপ ইনস্টল করে, পাকিস্তানে সরাসরি যোগাযোগ করছে, সেই জায়গায় ভারতীয় সেনা এবং গোয়েন্দা বিভাগ অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। মূলত তাদের ব্যর্থতার কারণেই জম্মু-কাশ্মীর আর নিরাপদ নেই।

 

Previous articleরাজ্যের ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শুক্রবার থেকে শুরু মনোনয়ন জমার কাজ
Next articleরেস্তোরাঁ কাণ্ডে স্বস্তি সোহমের! আগাম জামিন পেলেন বিধায়ক-অভিনেতা