ক্ষমতায় আসতেই জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত! রথযাত্রার আগে পুরীতে ‘ধর্মের তাস’ বিজেপির

ওড়িশায় ক্ষমতায় এসেই ফের মন্দির নিয়ে রাজনীতি শুরু বিজেপির (BJP)। লোকসভা ভোটে সব পূর্বাভাস বদলে বিজেডি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে গেরুয়া শিবির। বুধবারই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মোহনচরণ মাঝি। আর তার কয়েকঘণ্টা কাটতে না কাটতেই প্রথমে পুরীর মন্দিরকেই টার্গেট নয়া মুখ্যমন্ত্রীর। অনান্য কোনো বিষয় নয় মন্দিরকে সামনে রেখে বিজেপি যে পুরীতে নয়া রাজনীতি শুরু করে দিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মাস ঘুরলেই রথযাত্রা (Rathyatra)। ভক্তদের ভিড়ে জনপ্লাবনের চেহারা নেবে জগন্নাথভূমি (Jagannath)। তার আগেই বড়সড় পদক্ষেপ বিজেপির।


শপথ নেওয়ার পর প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই মোহন মাঝি পুরীর মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি জানান। আর সেইমতো বৃহস্পতিবার থেকেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজাই খুলে দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি, দুই উপমুখ্যমন্ত্রী কেভি সিং দেও এবং প্রভাতি পারিদাকে জগন্নাথ মন্দিরে যান এবং সেখানে প্রার্থনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজা খোলার প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সেই মতো এদিন সকালে তিনি পুরীর বিধায়ক এবং সাংসদ সম্বিত পাত্রকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গল আরতিতে যোগ দিয়েছিলেন।

 


এদিকে বুধবারই দ্বাদশ শতাব্দীর এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ তহবিল তৈরি করারও কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মন্দিরের জন্য ৫০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করা হবে। প্রসঙ্গত, ওড়িশায় বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারের অন্যতম ছিল পুরীর মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া। কোভিডকাল এবং কোভিড পরবর্তী সময় বিজেডি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে মন্দিরের একটি মাত্র দরজা খোলা থাকবে। অবশেষে ক্ষমতায় এসেই দরজা খুলে নিজেদের ইমেজ বজায় রাখার চেষ্টা গেরুয়া বাহিনীর। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারদিকের চারটি দরজা ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। সেগুলি হল সিংহদ্বার, ব্যাঘ্রদ্বার, হস্তিদ্বার এবং অশ্বদ্বার। শেষমেশ রথযাত্রার আগেই খুলে গেল মন্দিরের ৪ দরজাই।


Previous articleবিশ্বকাপ শেষ হতে না হতেই শুরু স্টেডিয়াম ভাঙার কাজ, কিন্তু কেন?
Next articleচর্চায় মানিকতলা, এবার ফেসবুক পোস্ট শ্রেয়ার