এবার লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ হিসেবে দিল্লি যাচ্ছেন যাদবপুরের সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। নব নির্বাচিত তৃণমূলের (TMC) এই সাংসদ যাদবপুর লোকসভা এলাকার ছাত্র-যুবদের জন্য ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন। সায়নী মনে করছেন, নতুন প্রজন্মের শিক্ষিত যুবক যুবতীদের জন্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার উপর জোর জোর দেওয়ার পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্ট হলে বিষয়টি পরিপূর্ণ হয়।

পাশাপাশি মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা দরকার বলে মনে করছেন সায়নী। এমএসএমইতে এইরাজ্য প্রথম। এমএসএমই, স্টার্ট আপ নিয়ে ভাবনা রয়েছে। সায়নীর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলেছিলেন, চায়ের দোকান দিন, তখন উনি আসলে বলতে চেয়েছিলেন, তুমি বাড়িতে বসে না থেকে কিছু করো। তুমি যদি পরিশ্রম করে উপার্জন কর, তাহলে সেটাই হল তোমার জন্য ‘ডিগনিটি অব লেবার’। কেন্দ্রের দিক থেকেই বা কোথায় এখন চাকরি হচ্ছে। সব কিছুর বেসরকারিকরণ হচ্ছে।

এলাকার কাজকর্ম নিয়ে পূর্ববর্তী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গেও কথা বলেছেন সায়নী। ভোটে দাঁড়ানোর পর সায়নীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল মিমি। কী কী কাজ হয়েছিল, তার একটা তালিকাও পাঠিয়েছিল সায়নীকে পাঠিয়েছেন মিমি।

যুব সম্প্রদায়কে নিয়ে যে তৃণমূল ভাবে, সে কথাও উল্লেখ করেন যাদবপুরের নবনির্বাচিত সাংসদ। এ প্রসঙ্গে সায়নী বলেন, “এই বয়সের মানুষদের জন্য আমাদের দলই ভাবে। ২০২১-এ ২৮-২৯ বছর বয়সে আমাকেও বিধানসভার টিকিট দেওয়া হয়েছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যখন সাংসদ হয়েছিলেন, ওঁর বয়সও কম ছিল। এটা আমাদের দলের রীতি।” নতুন প্রজন্মের যে রাজনীতি নিয়ে অনীহা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করে সায়নী বলেন, “দেশের রাজনীতি নিয়ে মানুষের অনীহা রয়েছে। আমিও রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে ১০০ মাইল দূরে ছিলাম এসব থেকে। এখন ধারণা বদলাচ্ছে। এখন মনে করছি, তরুণদের রাজনীতিতে আরও বেশি বেশি করে আসা উচিত। তরুণ প্রজন্মের উপর নির্ভর করে দেশের ভবিষ্যত।”
